Connect with us

জাতীয়

বিদ্যুৎ খাতে নতুন দিগন্ত, ভারত থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা

Published

on

power gridস্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের আগরতলার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কুমিল্লা দিয়ে ১০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে এবং এজন্য একটি প্রজেক্টও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে আগরতলার সিটি সেন্টার আর্ট গ্যালারিতে চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘মাই সয়েল মাই সোল’র ২য় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সর্ম্পক হৃদ্যতার, বন্ধুত্ব ও আÍীয়তার। ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা এ সম্পর্ক দিনে দিনে সুসংহত ও সমৃদ্ধতর হচ্ছে। এটাকে আরো প্রসারিত করতে এ আলোকচিত্র প্রদশর্নী ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আলোকচিত্র ইতিহাসের ধারক ও বাহক। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে আলোকচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকক্ষেত্রে আলোকচিত্র বড় প্রবন্ধ বা সুদীর্ঘ বক্তব্যের থেকেও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাইবো খুব দ্রুত ভারত সরকার জল বণ্টন, ভূমি ও ছিটমহলের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও চট্টগ্রাম বন্দর ও আশুগঞ্জ বন্দর ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন।” এ ক্ষেত্রে ভারত সরকার দেরি করলেও বাংলাদেশ সরকার এক কদম এগিয়ে এসে আগাম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যাতে ভারত সরকার আর পিছিয়ে যেতে না পারে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের বিশেষ করে ত্রিপুরার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া ও দাবি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সাথে বাণিজ্যিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে যেন একটি স্থির, স্থায়ী সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এটা হলে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ যেমন উপকৃত হবে, ত্রিপুরার উত্তর পূর্বাঞ্চল সর্বোপরি ভারতবর্ষ উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমাদের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। “আপনারা আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ করুন যেন আমরা চট্টগ্রাম বন্দর ও আশুগঞ্জ নদীবন্দর ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেন।”
আগরতলা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামালগুলো আনতে বাংলাদেশ যদি আশুগঞ্জ নদীবন্দর ব্যবহার করতে না দিতো তাহলে আমরা এ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতেই পারতাম না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দাবি ছিল এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছুটা বিদ্যুৎ যেন তারা পায়। আমরা বলেছি, আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বললে তো হবেনা, ভারত সরকার যতক্ষণ সিদ্ধান্ত না নেবে।
দেরিতে হলেও ভারত সরকার সিন্ধান্ত নিয়েছে পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ দিবে। পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সূর্যমুনি নগর হয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা দিয়ে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন টানা হবে এর একটি প্রজেক্টও তৈরি করা হয়েছে। আমার ধারণা আগামী অল্প কিছুদিনের মধ্যে নতুন লাইন টানা হবে এবং বিদ্যুৎ পৌছানো সম্ভব হবে। এসময় তিনি চট্টগ্রাম থেকে আগত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানান।
ইন্ধিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ঢাকা, বাংলাদেশ ও আগরতলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানু লাল সাহা। আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সত্যব্রত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আগরতলা পৌর মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফি, সিপিজেএর সভাপতি দিদারুল আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং ক্রেস্ট ও স্যুভেনিয়র তুলে দেন সিপিজেএর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানু লাল সাহা বলেন, ভিন্ন দেশে থেকেও ভাষা, সংস্কৃতি, চিন্তা ও ভাবনায় আমরা এক। আমাদের আসা যাওয়া দু’দেশের সর্ম্পক উন্নতিতে সাহায্য করবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *