Connect with us

খেলাধুলা

বিশ্বকাপেও একদিন সুদিন আসবে সোহাগের

Published

on

স্পোর্টস ডেস্ক:

অথচ এক মাস আগেও চিত্রটা ছিল ভিন্ন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিল নিষেধাজ্ঞা। খেলছিলেন ঠিকই, টুকটাক পারফরম্যান্সও পাচ্ছিলেন; কিন্তু জ্বলে ওঠা বলতে যা বোঝাও সেটা অনুপস্থিত ছিল। তবে, সেই সোহাগ গাজী বদলে গেলেন। বদলে যাওয়ার পিছনে ছিল একটা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। বোলিং অ্যাকশনজনিত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা যদিও এখনও হয়নি; ঘরোয়া ক্রিকেটেই প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। স্রেফ বলার জন্য বলা নয়, পরিসংখ্যানও কথা বলছে সোহাগ গাজীর হয়েই। বরিশাল বিভাগের হয়ে পাঁচ ম্যাচে নিয়ে
ফেলেছেন ২৬ টি উইকেট। আর এটা টুর্নামেন্টে এখন অবধি তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৫ উইকেট নিয়েছেন তিন বার। তাঁর আগে আছেন শুধু আব্দুর রাজ্জাক (৩৬ উইকেট) এবং ইলিয়াস সানি (৩১ উইকেট)। কেবল কি বোলিং? ব্যাটিংয়ের ধারটাও একটু একটু করে বাড়িয়ে নিচ্ছেন। ৭ ইনিংসে ৩৪ গড়ে করেছেন ২৩৯ রান। আছে দুটি হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট হলেও স্ট্রাইক রেটটা ওয়ানডের মতো-৯৭! সেই সোহাগ কি ভাবছেন? তার লক্ষ্যটা কি? বললেন, জাতীয় দলে দ্রুতই ফিরে আসার তাড়নার কথা, ‘জাতীয় লিগে যা পারফরম্যান্স করতেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। তবে, জাতীয় দলে আবারও জায়গা পাওয়াটা এতোটা সহজ না। অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। আর এখন অনেক ভালো ভালো স্পিনার আছে দলে। তাদের সাথে লড়াই করেই জিততে হবে। দলে জায়গা পেতে হবে। আর সেজন্য আমি জাতীয় লিগটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’ সব কিছু স্বাভাবিক গতিতে থাকলে হয়তো এখন দলের সাথেই থাকতেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। হয়তো, সাকিবের সাথে জুটি বেঁধে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে দেখা যেতো সোহাগের স্পিন-জাদু। সেটা নিয়ে একটু হতাশা তো আছেই। হতাশার চেয়েও আরও বেশি আছে চ্যালেঞ্জ। সোহাগ বললেন, ‘হয়তো দলের সাথে থাকতাম, হয়তো ম্যাচ খেলতাম। স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপের সেরা বোলারদের একজন হওয়ার। এবার সেটা হয়নি। তবে, চেষ্টা থাকলে সুযোগ আবারও আসবে। সে জন্যই তো এখন এই জাতীয় লিগের লড়াই!’ জাতীয় লিগে চলছে সোহাগ গাজীর সুদিন। একদিন হয়তো বিশ্বকাপেও আসবে তেমন সুদিন!

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *