Connect with us

ঢাকা বিভাগ

বোয়ালমারীতে এসএইচআই ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পুড়ছে গাছ

Published

on

বোয়ালমারী প্রতিনিধির্ ঃ সকল প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে এসএইচআই নামের একটি ইট ভাটা যার মালিক মোঃ হাফিজুর রহমান মঞ্জু বলে জানা গেছে । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাটার ভেতরে স্তূপকৃত গাছের খড়ি । এই ভাটার ভেতরে ইট পুড়াচ্ছে কয়লার পরিবর্তে গাছের খড়ি দিয়ে যা স¤পূর্ণ আইন বিরোধী এবং পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর । উক্ত ইট ভাটাটি গত ৫/৬ বছর যাবৎ একইভাবে চলছে বলে জানা যায়। ভাটা প্রদর্শণ শেষে মালিক মোঃ হাফিজুর রহমান মঞ্জুর সাথে তার অফিস কক্ষে কথা হলে এবং ইট ভাটার কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ভাটাটির ঝিকঝ্যাক কারার কাজ চলছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে, ভ্যাট প্রত্যয়ন শুরু হয়নি। কি কি কাগজ-পত্র আছে জানতে চাইলে তিনি অনেক খুঁজে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাটের কাগজ দেখান। কোন অনুমোদন না নিয়ে এভাবে এতবছর ব্যবসা করছেন কি করে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। বার বার কথা প্রসংগে নিজেকে স্থানীয় উপজেলার কৃষকলীগের নেতা বলে প্রতিবেদককে জানাচিছলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বোয়ালমারী উপজেলায় অটো ইটভাটাসহ মোট ২২টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটাই সরকারী নিয়ম অনুসরণ করে অনুমোদন নিয়েছে কেবলমাত্র তার এসএইচআই ইটভাটাটি ছাড়া। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন-২০১৩ এর ৬ ধারা অনুযায়ী ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো এবং ৮ধারা অনুযায়ী লোকালয়ে ও কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ বলা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ইটভাটা ব্যবসায়ী জানান হাফিজকে ইটভাটা সমিতি থেকে বার বার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তিনি কেবলই সময় ক্ষেপন করেছেন। সমিতির দেয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি বরং অসুদপায় অবলম্বন করে ব্যবসা করে চলেছেন যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। প্রকৃত ইটভাটা ব্যবসায়ীরা সরকারকে নিয়মিত রাজস্বসহ অন্যান্য সকল কর পরিশোধ করে কয়লা দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে ইট পুড়াচ্ছে ফলে সংগত কারণেই ইটের দাম একটু বেশী পড়লেও মান ভালো হয়। কিন্তু গাছের খড়ি দিয়ে ইট পুড়ালে দাম অনেক কম পড়ে। এভাবেই দিনে দিনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ইটভাটা ব্যবসায়ীদের দাবি এই অবৈধ ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ পরিবেশকে বিপর্যের হাত থেকে রক্ষা করা হউক।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *