Connect with us

কুড়িগ্রাম

ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়েছে ভারতের বুনোহাতি, উদ্ধার তৎপরতায় বনবিভাগ

Published

on

Kurigram Indian Elephant photo 30.06.16

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় বানের পানিতে ভারত থেকে ভেসে আসা একটি বুনোহাতি গত তিন দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের খেরুয়ার চরে আটকা পড়ে আছে। হাতিটি উদ্ধারে কাজ করছে ঢাকা সাফারিপার্কের এবং বন্য প্রাণি সংরক্ষন রাজশাহী’র প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় চিলমারী থেকে নৌকাযোগে সকাল ৮ টায় ঘটনাস্থলে পৌছেছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হাতিটি ফেরত পেতে ভারতের আসাম রাজ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসেছে বলে জানা গেছে। ভারতের প্রতিনিধি দলটিও ঘটনাস্থল চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ার চরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তারা কিভাবে হাতিটিকে উদ্ধার করবেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে হাতিটিকে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, ভারতের আসাম প্রদেশের শিশুমারা এলাকা থেকে বুনোহাতিটি বানের পানির তীব্র স্রোতে ভেসে এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রৌমরী উপজেলা লাগোয়া উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চরবাগুয়ার চর নামক স্থানে আটকা পড়ে গত মঙ্গলবার ভোর রাতে। বুধবার নদের তীব্র স্রোতে ভাসতে ভাসতে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউরিয়নের খেরুয়ার চর এলাকায় এসে আটকা পড়ে। বর্তমানে হাতিটি খেরুয়ার চরের কাদায় পা আটকা পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা সাফারিপার্কের এবং বন্য প্রাণি সংরক্ষন রাজশাহী থেকে আসা ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল হাতিটি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের চিলমারী রেঞ্চ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। তাঁরা এসে হাতিটি দেখার পর হাতিটিকে উদ্ধারে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও হাতিটি উদ্ধার করে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভারতের আসাম থেকে এসেছেন প্রতিনিধি দলও।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের বন বিভাগের চিলমারী রেঞ্চ এর লোকজন প্রথমদিন থেকে হাতিটির উপর নজর রাখছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাকা সাফারিপার্ক ও রাজশাহী প্রাণি সংরক্ষন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *