ফিচার
ভারতের ২ ধনাঢ্য ভিখারি!
ফিচার ডেস্ক: নাম রফিক। পেশা ভিক্ষুক। মাসে উপার্জন ১ লাখ! তিনি গাড়ি চড়ে ভিক্ষা করতে আসেন। শুনে অবাক লাগলেও সত্যি। এমন অভিনব ঘটনা দেখতে হলে চলে যান মধ্যপ্রদেশের খারগাওয়ে। সেখানেই দেখা মিলবে এই কর্পোরেট ভিখারির।
রফিক আদতে প্রতিবন্ধী। তাঁর দু`টি পা নেই। যাতায়াতের সুবিধার জন্য গাড়ি কিনেছেন তিনি। সেখানেই সপরিবারে থাকেন। গাড়িতেই ঘুমান। আবার এটি চড়েই ভিক্ষে করতে বের হন।
রফিক জানান, জন্মসূত্রে তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। দু`টি পা হারিয়েও অদম্য জেদে গাড়ি চালানো শিখে নেন তিনি। উপার্জন ভালো তাই গাড়ি কিনতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। নগদ টাকাতেই গাড়ি কিনে সেটিকেই ঘর বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
খারগাওয়ের নবগড় মন্দির চত্বরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যান। সারাদিনে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা রোজগার করেন তিনি। টাকার অঙ্কটা মাস গেলে লাখ ছাড়িয়ে যায়। রোজগারের বহর দেখে যে কোনও বড় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী ভিরমি খেতে পারেন।
৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাটে থাকেন ভরত জৈন!
নাম ভরত জৈন। থাকেন মুম্বইয়ে ৮০ লাখ টাকায় কেনা ফ্ল্যাটে। তার মাসিক রোজগার প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। আর তিনি ভিক্ষা করেই রোজগার করেন এই টাকা!
স্ত্রী, দুই ছেলে, বাবা এবং ভাইকে নিয়ে তার সংসার। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল বা আজাদ ময়দান চত্বরে ভিক্ষে করে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা রোজগার ভরতের। মাসে গিয়ে দাঁড়ায় ৭৫ হাজার টাকা। যা ভারতের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মাসিক বেতনের চেয়েও বেশি।
ভরত জানায়, ভান্ডুপে তাঁর একটি দোকানও রয়েছে। তবে সেটা মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় দেওয়া রয়েছে। দুই ছেলের মধ্যে এক জন দ্বাদশ ও অন্য জন দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর