Connect with us

ফিচার

মাটির নীচে শহর (ভিডিও)

Published

on

Coober-Pedy-bg

ফিচার ডেস্ক:  এ যেন কল্পবিজ্ঞানেরই বাস্তব রূপ! খানিকটা জুলেভার্নের `জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ`-এর মতো। পৃথিবীর গভীরে আরেক বিশ্বের খোঁজ। অনেকটা তাই। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে ৮৪৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই কোবার পেডি (Coober Pedy) নামের শহরটি। পুরো শহরটাই গড়ে উঠেছে মাটির নীচে। আর পাঁচটি আধুনিক শহরের মতোই সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। শহরটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের বসবাস।

অস্ট্রেলিয়ার এই শহরটির জন্ম ১৯১৫ সালে। শহরটির মূল বৈশিষ্ট হলো বহুমূল্য রত্নের খনি। উপল (opal) নামক রত্নটি বিশ্বের ৯৫ শতাংশই পাওয়া যায় কুবের পেডি এলাকা থেকে। তাই এই শহরকে বিশ্বের উপল রাজধানী বলা হয়।

শহরটিতে বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে মরুভূমি। চারিদিক জনমানব শূন্য। স্থানে স্থানে গুহা। সেই গুহাদিয়ে নেমে গেছে সুড়ঙ্গের মতো সিঁড়ি। সিঁড়ি ধরে নীচে নামলেই অত্যাধুনিক বাসস্থান। উচ্চপ্রযুক্তির সরঞ্জাম। রয়েছে দামি হোটেল, গিফট শপ, চার্চ, ক্যাসিনো, বেশ কয়েকটি যাদুঘর, সুইমিং পুল।

শহরটির গোরাপত্তন
শহরটির ইতিহাস জানতে হলে ফিরে যেতে হবে শতবছর আগে। ১৯১৫ সাল। তখন অস্ট্রেলিয়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলছিল তীব্র গ্রীষ্মের দাপট। গ্রীষ্মকালে কুবের পেডি এলাকার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (যা অবশ্য আজকাল আমাদের দেশেও হয়।) এই তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে শহরের বাসিন্দারা ঠিক করেন, মাটির তলাতেই পাকাপাকি বন্দোবস্ত করবেন। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। মাটি খুঁড়ে বসতি গড়তে শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু। আজ কুবের পেডি বিশ্বের বিস্ময়।

https://www.youtube.com/watch?v=JXr8EGBdQjA

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *