বাংলাদেশেরপত্র: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুস সুবহানের ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ । অপর দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম। তার বিরুদ্ধে আনা ৯টি অভিযোগের ৬টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১, ৩ ও ৬ নং অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সুবহানের বিরুদ্ধে ১৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠ করা হয়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে সুবহানের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে সুবহানের পক্ষে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, শাহজাহান কবির, শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন এবং সুবহানের ছেলে নেছার আহমদ নান্নু ও মুজাহিদুল উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন,তুরিন আফরোজ, মোহাম্মদ আলী ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুবহানকে আদালতের এজলাস কক্ষে আনা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা। তার মাথায় টুপি ছিল।
সুবহানের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ কয়েকটি এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছ পুলিশ ও র্যাব। হাইকোর্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাকধারী ছাড়াও রয়েছেন সাদা পোশাক পরা সদ্যসরা।
বুধবার সকালে নজরদারির পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় বিশেষ তল্লাশি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনাল এলাকায় প্রবেশপথগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবারে আবদুস সুবহানের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। এরপর হরতাল-অবরোধের নিরাপত্তার মধ্যেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।