Connect with us

বিবিধ

মানবদেহের ১৫ টি অজানা রহস্য!

Published

on

it-3রকমারি ডেস্ক:
মানুষের স্বাভাবিক ধারণার চেয়ে মানবদেহের ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি। যা নিয়ে আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই; মানবদেহের রহস্যময় তেমন ১৫টি বিষয় তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য:

১. মানুষের স্নায়ু থেকে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের গতি ঘণ্টায় ২৫০ মাইল।

২. একজন মানুষ স্বাভাবিকভাবে যেসব রং দেখতে পায়, একজন নারী তার চেয়ে ভালো দেখতে পারেন। পুরুষের শরীরে সাধারণত ৩ ধরনের কালার রিসেপ্টর থাকলেও একজন নারীর শরীরে ৪ থেকে ৫ ধরনের কালার রিসেপ্টর থকে।

৩. মানুষ প্রয়োজনে অত্যন্ত সহনশীল। এই সহনশীলতার প্রমাণ সবচেয়ে বেশি তখনই পাওয়া যায়; যখন সে দীর্ঘ দূরত্বের পথ দৌঁড়ায়। আজ থেকে হাজার বছর আগে মানুষ শুধু শিকার করার জন্য দৌঁড়াত। যতোক্ষণ না তারা ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়ত, দৌঁড়াতে কারও আপত্তি থাকত না।

৪. আমাদের হাতের আঙুলগুলো এতই সংবেদনশীল যে, আঙুলগুলোর আকার যদি পৃধিবীর মত বড়ও হয়, তাহলেও সেটি একটি গাড়ি বা একটি বাড়ির মধ্যকার পার্থক্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম।

৫. কান্নার ধরনের সাথে সাথে চোখের পানির ধরনও পরিবর্তন হয়।

৬. মানুষের হাড়গুলো গ্রনাইটের চেয়েও শক্ত। একটি ম্যাচবক্স আকারের হাড় অন্তত ৯ টন ভর বহনে সক্ষম।

৭. চোখের যে পেশির কারণে আমরা দেখতে পাই, সেটি দিনে এক লাখ বার আবর্তিত হয়। যদি আমরা একটি পরিমাণ কাজ পায়ের পেশি দিয়ে করতাম, তাহলে অন্তত ৫০ মাইল হাঁটা সম্ভব।

৮. প্রতি ৩০ মিনিটে আমাদের শরীর যে পরিমাণ তাপ নির্গত করে, এক গ্যালন পানি ফুটানোর জন্য তা যথেষ্ট।

৯. মানুষের চোখ এতই সংবেদনশীল যে, পৃথিবীটা যদি সমতল হতো তাহলে ৩০ মাইল দূর থেকে একটি জ্বলন্ত মোমবাতি দেখা যেত।
১০. একজন গর্ভবতী নারীর কোনো অঙ্গ যখন ক্ষতির শিকার হয়, তাহলে ভ্রুণ জরুরি ভিত্তিতে সেখানে স্টেম সেল পাঠাতে পারে। এর দ্বারা সেই নারী এই ক্ষতির বিরুদ্ধে স্নায়বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

১১. মানুষের ছয় ধরনের ইন্দ্রিয় সম্পর্কে আপনি জানেন। কিন্তু মানুষের অন্তত ১৫ ধরনের ইন্দ্রিয় আছে। যেমন, ভারসাম্য, যন্ত্রণা, তাপমাত্রা, তৃষ্ণা।

১২. মানুষের শরীরে যা লোম অছে, তা প্রায় শিম্পাঞ্জীর শরীরের লোমের সমান।

১৩. মানুষের মস্তিষ্ক যদি কম্পিউটার হতো, তাহলে তা প্রতি সেকেন্ডে ৩৮ হাজার ট্রিলিয়ন কাজ সম্পন্ন করতো পারত, পক্ষান্তরে পৃথিবীর সবচেয়ে সুপার কম্পিউটারটির ক্ষমতা মাত্র এই কাজের ০.০০২%

১৪.মানুষের শরীরে রয়েছে দশমিক দুই মিলিগ্রাম স্বর্ণ; যা রক্তের সঙ্গে মিশে আছে।

১৫. মানুষের শরীরের ৯০ শতাংশ কোষই মনুষ্য কোষ নয়, এদের অধিকাংশই ব্যাকটেরিয়া।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *