Connect with us

ঝিনাইদহ

মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে হাইপেসার জয়েন্টসীট টেন্ডারে দুর্নীতি-অনিয়নের অভিযোগ

Published

on

Mobarak Gonj Sugar Mill Photoঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দক্ষিণাঞ্চরের একমাত্র ভারী চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকলে দুর্নীতি অনিয়ম থেমে নেই। একের পর এক দুর্নীতি অনিয়নের কারনে মিলটি বছরের পর বছর লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এবার মিলের হাইপেসার জয়েন্টসীন ক্রয় টেন্ডারে দুর্নীতি ও অনিয়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুগারমিলের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মাহমুদুল হাসান প্রভাবিত হয়ে টেন্ডারের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি না দিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তা দেবার পায়তারা করছেন। এ ঘটনায় মেসার্স কাব্য এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটার রহমত আলী মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে হাইপেসার জয়েন্ট সীট মালামাল ক্রয়ের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে মেসার্স কাব্য এন্টার প্রাইজ, এফ রহমান এন্টার প্রাইজ, ঢাকা, ইমন এন্টার প্রাইজসহ ৪ জন টেন্ডার ড্রপ করেন। কাব্য এন্টার প্রাইজ টেন্ডারে মালের কেজি প্রতি দর দেয় ১০৫০ টাকা, এফ রহমান দেয় ১০৯৩ টাকা, ইমন এন্টার প্রাইজ দেয় ১১০০ টাকা। অপরটির বিষয়ে জানাযায়নি।
উল্লেখিত ৪ জনের মধ্যে কাব্য এন্টার প্রাইজ সর্বনিম্ন দর দিলেও তাকে কাজটি দেয়া হচ্ছে না বলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার রহমত আলী অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, মালামালটির স্যাম্পুল তিনি মোবারকগঞ্জ সুগারমিলের বয়লার মেকানিক রওশন আলীকে দেখিয়েছেন। তিনি মালটি কোয়ালিটি মনে করে সেটি নেবার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছেন।
কিন্তুু কাব্য এন্টার প্রাইজ কোয়ালিটিপূর্ণ মাল সরবরাহে সক্ষম এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্বেও যান্ত্রিক বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তাকে টেন্ডারের কাজটি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন প্রোপাইটার রহমত আলী।

এ ব্যাপারে সুগারমিলের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মাহমুদুল হাসান ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে চায়নি। পরে অবশ্য বলেন, মোবাইলে কথা বলা যাবে না, আপনি সরাসরি এসে কথা বলুন। বিষয়টি জরুরী বলায়, সংক্ষিপ্ত ভাবে কথা বলতে বলেন। টেন্ডারের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কেন কাজটি দেয়া হচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এ বিষয়ে আপনি জিএম (প্রশাসন) এর সাথে কথা বলেন।
টেন্ডারের ব্যাপারে জিএম (প্রশাসন) মানোয়ার হোসেন জানান, নমুনা অনুযায়ি কাজটি দেয়া হয়েছে। নমুনা যাদের ঠিক না তাদের রেট যদি কমও থাকে সেটা গন্য করা হয়নি। নমুনার সাথে যাদের মিল আছে, তাদেরকে গ্রহণ করা হয়েছে। টেন্ডার অনিয়নের কোন অভিযোগের কাগজপত্র তিনি পায়নি। এটা এটা সঠিক নয় বলে তিনি জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *