Connect with us

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ মামলা- খালাস চেয়ে আজহারের আপিল

Published

on

ajaharul war criminalস্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের বেশ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেছেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন গত কাল আপিলের নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন।
প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গতবছর ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে এই দণ্ডাদেশ দেয়।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি। সে সময় তার নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুরে গণহত্যা চালিয়ে ১৪ শ’র বেশি মানুষকে হত্যা, বহু নারীকে ধর্ষণ ও অপহরণ এমনকি নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছিল বলে ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে। এটিএম আজহারুল ইসলামের সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে। প্রসিকিউশনের ভাষ্য, সংখ্যার দিক থেকে এত বড় গণহত্যার বিচার এ ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে আর হয়নি।
১৯৬৮ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে পরের বছর আজহারুল ইসলাম ভর্তি হন রংপুর কারামাইকেল কলেজে। একত্তরে বাঙালি যখন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, আজহার তখন জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি হিসাবে আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার ছিলেন। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম দমনে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা দিতে শীর্ষ জামায়াত নেতাদের তত্ত্বাবধানে এই সশস্ত্র দলটি গড়ে তোলা হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী সে সময় রংপুর টাউন হলকে নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত করে এবং বৃহত্তর রংপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে সেখানে নির্যাতন করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের আমলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার পর দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন আজহার। ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমিরের দায়িত্ব পান এবং ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হন।
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলী। ওই বছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *