দেশজুড়ে
রংপুরের সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সৃষ্ট ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিবৃতি
অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রাজেন্দ্র শর্মা আমাকে ফোন করে কোচিং সেন্টারের সাথে জামায়াতের সম্পৃক্ততা আছে সন্দেহ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ২৪ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মো. রফিকুল আলম ফোন করে একই কথা জানান। তৎক্ষণাৎ আমি কমিউনিটি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্য বলি এবং নিজে কমিউনিটি সেন্টারের দিকে যাই। কিন্তু আমি আসার আগেই সেখানে মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, ২৪ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ আরো বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগীতায় অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন এবং উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকের হল বের করে দেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত সন্দেহে বিসিএস কনফার্ম কোচিং সেন্টারের পরিচালককে গ্রেফতার করেন।
বিবৃতিতে তিনি আরো জানান, সুমি কমিউনিটি সেন্টার মূলত ক্ষুদ্র পরিসরে সভা, সেমিনার, বিয়ে, গায়ে হলুদের জন্য হল ভাড়া দিয়ে থাকে। কোন সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে কোন সময়ের জন্য হল ভাড়া দেওয়ার নির্দেশ নেই। আমরা নিজেরাও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা লালন করি এবং করে আসছি। কোচিং সেন্টারের সাথে যদি কোন অশুভ চক্রের যোগসূত্র পাওয়া যায় তার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের সাথে জামায়াতের সম্পৃক্ততা আছে কি না এ বিষয়টা নিশ্চিত নই, পুলিশ এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন।
এছাড়া তিনি বিগত সময়ের ন্যায় এই হলরুমে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক চিন্তায় বিশ্বাসী মানুষদের সভা, সেমিনার, সামাজিক সকল অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুগ্ন জেলা দায়রা জজ মো. শাহাদাৎ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন এ্যাড. মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান মনির (শাশ্বত মনির)।