Connect with us

ঢাকা বিভাগ

রাজবাড়ীর পাংশা-বাহাদুরপুর আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা

Published

on

DSC08917রিয়াজুল করিম,রাজবাড়ীজেলা প্রতিনিধি।।রাড়বাড়ীর পাংশা উপজেলার পাংশা-বাহাদুরপুর আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আল মামুন খান মুঠোফোনে জানান, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য আমরা সাংসদকে অনুরোধ করেছি। সাংসদ
পাংশা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, পাংশা শহরের টেম্পুষ্ট্যান্ড থেকে বাহাদুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের কালীতলা বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। ২০১১ সালে এই আঞ্চলিক সড়কটি মেরামত করা হয়। দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কে বিভিন্ন খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এই সড়ক ঢাকাগামী বাসসহ ট্রাক, মাইক্রো, বাটাহাম্বার, নছিমন, করিমন, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যান, মহিষের গাড়ী, ঘোড়ার গাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে। এই অঞ্চলের বাহাদুরপুর, হাবাসপুর, সেনগ্রাম, উদয়পুর, লক্ষীপুর, চরদৌলতদিয়া, জরঝিকুরী, জয়কৃষ্ণপুর, তারাপুর, বকশিপুর, চরপাড়া, কাচারীপাড়া, আমবাড়িয়া, তাহেরপুর, ধোকড়াখোলসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পাংশায় যাতায়াত করে। এছাড়া পাংশা থেকে নদীপথে পাবনা ও কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোটর সাইকেল চালক বাদশা খান জানান, এটি কৃষিপ্রধান এলাকা। এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ¯হানে বিভিন্ন ধরণের কৃষি পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহন যেতে চায় না, কিন্তু গেলেও যানবাহনের ভাড়া বেশী দিতে হচ্ছে।
ইজিবাইক চালক রস্তম আলী জানান, রাস্তায় নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে গাড়ি উল্টে গিয়ে যাত্রী সাধারন আহত হয়, এছাড়া খানাখন্দের কারনে গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ভ্যান চালক শাকিল শেখ বলেন, রাস্তার যে অবস্থা তাতে করে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা-চোড়ার কারনে ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা। এতে করে আমাদের রোজগার কমে যাচ্ছে।
হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান. জিল্লুল হাকিম রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে মেরামত করা সম্ভব হবে।
এলজিইডির পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পাংশায় যোগদানের আগে রাস্তাটির সংস্কার করা হয়ে ছিলো। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে রাস্তাটির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবো বলে মনে করছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *