Connect with us

বিবিধ

রাতজাগার ক্ষতির দিক

Published

on

change-normal-Life-3রকমারি ডেস্ক:
রাতজাগা মানুষের আই কিউ এবং সৃজনশীলতা যতই বেশি হোক না কেন, এই অভ্যাসের কারণে বাড়ছে তাদের ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি- বলছে নতুন এক গবেষণা। রাতজাগা মানুষ(হরমযঃ ড়ষি) এবং খুব সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা (বধৎষু নরৎফ) মানুষের ক্রনোটাইপ অর্থাৎ দেহঘড়ির বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে কাজ করেন কোরিয়ার একদল গবেষক। দেখা যায় অন্যদের তুলনায় রাতজাগা মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই দুই ধরনের মানুষ একই পরিমাণ ঘুমালেও রাতজাগা মানুষের এই ঝুঁকি বেশি হয়। কারণ রাত জেগে থাকার ফলে ঘুম কমে যায়, ঘুমের মান কমে এবং খাওয়ার সময়ও ওলট পালট হয়ে যায়। এসব কারণে দীর্ঘদিন রাতজাগার অভ্যাসের ফলে মেটাবলিজমে আসে
পরিবর্তন। এই গবেষণায় ৪৭ থেকে ৫৯ বছরের মাঝে ১,৬২০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। তাদের প্রত্যেকে নিজেদের ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার সময়, জীবনচর্চা এবং অভ্যাসের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেন। এরপর উঊঢঅ এবং ঈঞ স্ক্যানের মাধ্যমে তাদের টোটাল বডি ফ্যাট, লিন বডি মাস এবং অ্যাবডমিনাল ফ্যাট পরিমাপ করা হয়। এর পর দেখা যায়, সবার মাঝে ৪৮০ জন সকাল সকাল ওঠেন এবং মাত্র ৯৫ জন রাতজাগা অভ্যাসের মানুষ। বাকিরা এই দুইয়ের মাঝামাঝি ধরনের ক্রনোটাইপের মানুষ।
দেখা যায় রাতজাগা অভ্যাসের মানুষদের বডি ফ্যাট এবং ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল হয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। শুধু তাই নয় তাদের সারকোপেনিয়া হবার প্রবণতাও বেশি দেখা যায়। সারকোপেনিয়া হলো এমন এক জটিলতা যাতে রোগী ধীরে ধীরে পেশী হারাতে থাকেন। দেখা যায়, পুরুষদের মাঝে ডায়াবেটিস এবং সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বেশি হয় এবং নারীদের মাঝে মেদবহুল পেট এবং মেটাবলিক সিনড্রোম হতে দেখা যায় বেশি।
যদিও দেখা যায় রাতজাগা অভ্যাসের কারণে এসব মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, এক্ষেত্রে আসলে করার তেমন কিছু থাকে না কারণ অনেকের জেনেটিক মেকআপের ওপর ভিত্তি করেই এই অভ্যাস গড়ে ওঠে। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন এমন রাত জাগার কারণে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তবে আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন জলদি ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন কিনা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *