আন্তর্জাতিক
স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
বিডিপি ডেস্ক: স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে হাত-পা বেঁধে রেখে ঘরের মধ্যেই গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটে পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ জেলা সদরে। একই পরিবারের একসঙ্গে পরপর তিনজনের মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালে জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙে বিছানায় শায়িত বছর ত্রিশের স্ত্রী এবং সাত বছরের মেয়ের নিথর দেহ। সিলিংয়ে ঝুলে রয়েছেন আটত্রিশ বছরের যুবক বিশ্বজিৎ।
পাশের ঘরে থাকেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মী বাবা নাণ্টু পাল। এমাসেই তার মাসেই অবসর গ্রহণ করার কথা। অথচ বুধবার গভীর রাতের এই ঘটনা টের পাননি বয়স্ক বাবা-মা।
এদিন সকাল আটটা বেজে গেলেও বউমা সোমা পাল ঘুম থেকে না ওঠায় শাশুড়ি ডাকাডাকি করেন। তারপর দেখেন এই দৃশ্য। স্বামী বিশ্বজিত্ পাল পেশায় ঠিকাদার ব্যবসায়ী। শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল মেয়ে সুস্মিতা পাল।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী ও মেয়েকে রাতের খাবারের মধ্যে নেশাজাতীয় পদার্থ মিশিয়ে অচৈতন্য করে তারপর ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে স্ত্রী ও সাত বছরের কন্যাকে হত্যা করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যেই ঝুলে পড়েন বিশ্বজিৎ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। টাকা শোধ করতে না পারায় পাওনাদাররা নিয়ত চাপ সৃষ্টি করছিল। তার জেরেই এইভাবে পরিবার-সহ মৃত্যুর পথ বেছে নেয় বিশ্বজিৎ। পুলিশ খুনের কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে। বছর ষাটের বাবা নাণ্টু পাল নিজের সন্তান, নাতনি-সহ এতগুলি মৃতদেহ দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন।