দেশজুড়ে
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশন কর্মসূচীর অবসান-দশ দিনের মধ্যে নতুন উপাচার্যের আশ্বাস
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ অনশনশনরতদের পানীয় পান করানোর মাধ্যমে রসিক মেয়র ঝন্টু তাদের অনশন ভজ্ঞ করান ।এর আগে আয়োজিত সমাবেশে রসিক মেয়র উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি গুন্ডা বাহিনী দিয়ে শিক্ষকদের পিটিয়েছেন, আপনাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ঢুকতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ এই উপাচার্যকে রাখার জন্য উঠে পরে লেগেছে। তাদের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে তার দূর্ণীতি করা। তিনি অনশনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপাচার্য ঢাকায় বসে মুরগীর রান খাবে আর আপনারা না খেয়ে অনশন করবেন এটা হয়না। আপনারা অনশন তুলে নিয়ে অন্য কোন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করুন।
মেয়র আরও বলেন, আমি ইতোমধ্যেই ঢাকায় কথা বলেছি, তারা এই উপাচার্যকে না রাখার মত ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন কাউকে খুজছেন। আর আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যাতে এই আয়োডিনযুক্ত ভিসিকে অপসারণ করে আয়োডিনমুক্ত কাউকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে এউ উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হবে না। আর আমিও সে আন্দোলনে আপনাদের সাথে থাকব।
গত তিন তারিখে অনশনকারীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান রসিক মেয়র। সেই সাথে তিনি পুলিশকে ধিক্কার দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা উপাচার্যের দালালি করছে। তিনি রংপুর পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে এখান থেকে অপসারণ করুন। কারণ তিনি একপক্ষের হয়ে গেছেন। আর একারণেই তিনি নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়াডের কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী,প্যানেল মেয়র আব্দুল কাশেম,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি দিলসাত হোসেন মুকুল,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ময়না,কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ রেজাউল হক,কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউর ইসলাম রাফি সহ অন্যান্য রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদগণ ,বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মন প্রমূখ।
উল্লেখ্য যে,গত ৮ ফেব্র“য়ারি থেকে উপার্যের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ।এ ২৬ দিনের অনশন কর্মসূচী চলাকালে মোট ৯ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ।পুলিশ নির্যাতনে আহত ৫ জন অদ্যাবধি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।সর্বপরি শিক্ষার্থীদের কাঁধে চেপেছে প্রায় তিন মাসের সেশনজটের অসহনীয় বোঝা ।