Connect with us

শিক্ষাঙ্গন

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে হরিজন ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা

Published

on

downloadবেরোবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশে প্রথমবারের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় হরিজন কোটা সহ রাখা হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গদের (হিজড়া) বিশেষ কোটা। আর এই কোটা প্রথমবারের মত চালু হচ্ছে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় থেকেই এই বিশেষ কোটা রাখা হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সুত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর-উন-নবী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘হরিজন সম্প্রদায় সহ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ জনগোষ্ঠী যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে এই বিশেষ কোটা রাখা হচ্ছে।আর এই কোটা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হবে সেই আশা ব্যক্ত করি।’

তিনি আরও জানান, হরিজন কোটায় ০.৫ শতাংশ এবং‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটায় আসনের ০.৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বছর থেকেই এই কোটা চালু হলেও এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোন পরীক্ষার্থী পাওয়া যাবে কিনা একই সাথে সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন উপাচার্য।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “এ বছর থেকে এই কোটা চালু করা হলেও এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রার্থী পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কেননা যাদের জন্য এই কোটা রাখা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ সুবিধা পায় এমন প্রার্থীর সংখ্যা অতি নগন্য। তারপরও আমারা এবছর থেকেই এই কোটা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব)মোর্শেদ উল আলম রনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় “হরিজন” ও ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হবে।’

তিনি আরও জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১৫ নভেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আবেদন করতে বলে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬, ৭ , ৮ এবং ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতবারের রেকর্ড সংখ্যক ভর্তি জালিয়াতির প্রেক্ষপটে একই সাথে এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই বিভিন্ন শিফটে সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ৬, ৭ এবং ৮ তারিখে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তিতে এই তারিখ পুন:নির্ধারণ করে ৬, ৭ , ৮ এবং ১০ ডিসেম্বর করা হয়।

বাংলাদেশেরপত্র.কম/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *