শাহাদত হোসেন, রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারীতে জুয়েলের খুনিদের এক মাসেও পুলিশ গ্রেফতার না করায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও এলাকাবাসীর উদ্বোগে প্রতিবাদ সভা ও মিলাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকাল ৪টার সময় খনজনমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও এলাকাবাসী উদ্যেগে প্রতিবাদ সভা ও মিলাত মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েলের খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার না করে খুনিদের নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়ার সুযোগ করে দিয়েছে। খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধ করলেও রহ¯্রজনক কারণে পুলিশ খুনিদের গ্রেফতার না করা অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.আ: কাদের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মো. আব্দুল খালেক, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম,মানবাধিকার কর্মী মো.আবু হানিফ মাস্টার, শিক্ষক মো.জাহাগীর আলম,ইউপি সদস্য আজিজুল হক,মজাহারুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ, সেচ্ছাসেবকলীগে অফিস স্থাপনের জের ধরে ২০ মার্চ রাত ১টার সময় খনজনমারা গ্রাম থেকে বাড়ী ফেরার পথে তাকে এ্যালোপাতারি কুপিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে যায় খুনিরা। মাথা থেকে পা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি ছুরিকাঘাত। প্রতিটা নিশ্বাসের সাথে সাথে ফিমকি দিয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত। কিন্তু তখনও জ্ঞান হারাননি জুয়েল আহমেদ। পড়ে আশপাশের মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রৌমারী হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং অবশেষে শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২৩ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালরে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন জুয়েল। জুয়েল মহিলা কলেজপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমানের ছেলে।