Connect with us

দেশজুড়ে

লক্ষীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবের বিরুদ্ধে আদালতে প্রেমিকা নিলুর মামলা

Published

on

রুবেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মজিবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইবুনালে মামলা করেছে নিলু (২৯) নামে এক তরুণী।

তরুণী ফাতেমাতুজ জোহরা (নিলু) ২৯ জানুয়ারী” ১৭ রবিবার দুপুরে ৪ জন কে বিবাদী করে লক্ষীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং – ৫১/১৭।

এই মামলার প্রধান আসামী করা হয় লক্ষীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পশ্চিম দিঘলী গ্রামের মৃত শামছুল ইসলাম খাঁনের পুত্র শেখ মজিব খাঁন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ওই চেয়ারম্যানের তিন ভাই মো: ফারুক খান, মো: তৌহিদ খাঁন ও মো: দুলাল খাঁনকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার বাদী নিলু সাংবাদিকদের জানান, বিগত ২০০৩ সন থেকে মামলার প্রধান আসামী শেখ মজিবুর এর সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ২০১৬ সালে ৭ ই অক্টোবর মজিব কোরআন শপত করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে বিয়ে করবে বলে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে ইট ভাটার ব্যবসা করবে এবংন ইউপি নিবার্চনকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মজিব ২৫ লক্ষ টাকা দার নেয়। মজিব নির্বাচনে জয় হয়ার পর সে আমার কাছ থেকে ধীরে ধীরে সরে য়ায়। পরে আমি মজিবকে তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করিলে চলতি মাসের ২৪ তারিখে লোক মারফতে তার সাথে দেখা করার জন্য খবর দেয়।

আমি ২৫ তারিখে তার সাথে দেখা করার জন্য তাদের বাড়ীতে গেলে মজিব ও তার ভাইরা আমাকে দেখার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং অকথ্য ভাষা গাল মন্দ করে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায় তারা আমাকে তাদের ঘরে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে আমার পরিবারে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে । হাসপাতালে গিয়ে মজিব ও তার সহযোগীরা আমাকে হুমকি ধমকী দিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করে। এসময় কোন উপায় না দেখে আমার পরিবারের লোকজন লক্ষীপুর থেকে নিয়ে নোয়াখালীতে চিকিৎসা করায়। বর্তমানে আমিও আমার পরিবারে লোকজন নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি এবং আতংকে দিন কাটাচ্ছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *