দেশজুড়ে
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হাতীবান্ধা সংবাদাদাতা, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গড্ডিমারী ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট ও ঘরবাড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীর পানির তোড়ে গ্িড্ডমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাটখোলা সড়কের ৩ স্তরে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার সড়কটির বিরাট অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় অত্র এলাকার লোকজনের বাইপাস সড়কে উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাটখোলা রাস্তা থেকে তারুর মোড় ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নয়ারহাট রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব এলাকার লোকজনের ও সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ভাঙ্গনের ফলে অত্র এলাকার ১৫টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। কার্যতঃ গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের মানচিত্র ক্রমশ সংকোচিত হয়ে আসছে। ইউনিয়নটির চারপাশের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকার লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। গড্ডিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে পাশাপাশি এলাকার সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে উপস্থিতির হার কমে গেছে। গ্িডডমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে সরকারিভাবে কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বুলু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে বালু, বস্তা ও বাশের পাইলিং ফেলিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে গড্ডিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুল ইসলাম জানান, এ ভাঙ্গনের ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার অর্ধেকে কমে এসেছে। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে যান হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, ইউএনও মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার। এব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, বন্যা কবলিত ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৪৯ মেঃ টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয় । আবার নতুন করে এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর