জাতীয়
শেষ হলো সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ : কেন্দ্রে কেন্দ্রে গণনা শুরু
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং শন্তিপূর্ণ পরিবেশে ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচন থেকে বিএনপি’র সরে দাঁড়ানোর পরও ভোটারদের মাঝে এর কোন প্রভাব পড়েনি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন ধরে ভোট দিতে দেখা গেছে। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
দু’একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তিনটি সিটি কর্পোরেশনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কোথাও উল্লেখযোগ্য কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। সকাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ রাজধানীর কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি ঢাকা দক্ষিণের ধানমন্ডির কাকলী হাই স্কুল এন্ড কলেজ ও উত্তরের ধানমন্ডি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ঢাকা দক্ষিণের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
ভোট গ্রহণে বিএনপির নানা অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, তিন সিটিতে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বাসস’কে বলেন, চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোাটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।
সকাল সাড়ে পৌনে ১১টায় ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন সস্ত্রীক নাজিরাবাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। অপরদিকে ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গুলশান মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ভোট দেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও চট্টগ্রম নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘেœ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ইসি সূত্র জানায়, আনসার, পুলিশ, র্যাব কোস্টগার্ড, বিজিবি মিলে প্রায় ৮০ হাজারের মতো নিরাপত্তাকর্মী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। এদের সঙ্গে মাঠে রয়েছে ৫শ’ ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া তিন ব্যাটালিয়ন সেনাবাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়।