Connect with us

জাতীয়

সংসদে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ১’শ কোটি টাকার বাজেট পাস

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার :  প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ২১৯ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের ৫৭ ঘণ্টার আলোচনার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৯৫ হাজার ১’শ কোটি টাকার নতুন বাজেট পাস করা হলো। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ বাজেট উত্থাপন করেন ।

বাজেটে ব্যয় অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা জাতীয় সংসদে মোট ৫৬টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন। এসব মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মধ্যে সাত সংসদ সদস্য মোট ৫২৫টি ছাটাই প্রস্তাব আনেন।

ছাটাই প্রস্তাব আনা সংসদ সদস্যরা হলেন হাজী মো. সেলিম, মো. শওকত চৌধুরী, নূরুল ইসলাম মিলন, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর, মাহজাবীন মোরশেদ, তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবং আবদুল মতিন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে নীতি অনুমোদন ছাঁটাই, মিতব্যয় ছাঁটাই ও প্রতিকী ছাটাই রয়েছে।

এসব ছাঁটাই প্রস্তাব নিষ্পত্তি শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বেলা ১টা ২৫ মিনিটে নির্দিষ্টকরণ বিল ২০১৫ পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। বিলের দফাগুলি সংসদে গৃহীত হওয়ার পর বেলা ১টা ২৯ মিনিটে নির্দিষ্টকরণ বিল কণ্ঠভোটে সংসদে পাস হয়।

অর্থমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, এবার বাজেটের ৯৫ দশমিক ৭ শতাংশই বাস্তিবায়িত হবে। বাজেট উচ্চাভিলাসী। তবে এটি বাস্তবায়ন যোগ্য।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১’শ কোটি টাকা। যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিলো ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটেও সামাজিক অবকাঠামো ও ভৌত অবকাঠামো খাতেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক অবকাঠামোতে নতুন অর্থবছরে জন্য ৬৯ কোটি ১৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।বিদায়ী অর্থবছরে এ খাতের বরাদ্দ দেওয়া হয়ে ছিলো ৬৩ হাজার ৩৬ কোটি টাকা।

ভৌত অবকাঠামোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯০ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিলো ৭৫ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা। সাধারণ সেবা খাতের বরাদ্দ ৮২ হাজর ৫৬০ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ৫৯ হাজার ৪৯ কোটি টাকা।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের বাইরে নতুন অর্থবছরের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি ধরা হয় ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের বাজেটে আকারের সঙ্গে বেড়েছে ঘাটতির পরিমাণ।

ঘাটতি পূরণ করা হবে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে নতুন অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি পূরণে বৈদেশকি ঋণের এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৬ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *