ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজধানীর বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র দিলকুশায় অবস্থিত মিয়া আমানুল্লাহ ভবনের আগুন। দিলকুশার ইউনূস টাওয়ার সংলগ্ন সাততলা বাণিজ্যিক ভবনটির দোতলায় শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ফ্লোরেও। ভবনটির দোতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসিএল) কার্যালয়। অন্যান্য ফ্লোরে রয়েছে ব্যাংক-বিমা সহ বিভিন্ন অফিস। রাত আটটায় সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আগুনের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ওই আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পুরো দিলকুশার আকাশ। তীব্র ধোঁয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আগুন নিভিয়ে ফেলার প্রচেষ্টা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনট্যানেন্স) মেজর শাকিল নেওয়াজ খান বলেন, ভবনের অফিসগুলোতে রয়েছে পারটেক্স ও থাইগ্লাসের ভারী ডেকোরেশন। এগুলো অত্যন্ত দাহ্যপদার্থ হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র তাপ এবং ধোঁয়া। অতিরিক্ত ধোঁয়া বের করে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই ভবনের থাই গ্লাসগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এদিকে আগুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও অন্যান্য নথি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।