জাতীয়
সিরাজগঞ্জে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার পাশাকে প্রধান করে এই কমিটিকে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহত যাত্রীর মধ্যে আরও ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, আজাদ পরিবহনের চালক মিনহাজ প্রধান (৪০), গাইবান্ধার সবুজ (২৫), লিটন আহমদ (৩০), রংপুর জেলার বদরগঞ্জের তাহেরা বেগম (৩৫), দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলার মোনমতাপুর গ্রামের কার্র্তিক রায়ের ছেলে বাবু রায় (২৫) চিচিরবন্দর উপজেলার পুনাট গ্রামের আশিনাথ রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (১৮), রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার আজিজুল হকের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (১৯), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (২০) ও বগুড়ার জিল্লুর রহমান। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
আজ রোববার ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কের সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের মূলিবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, চট্রগ্রাম থেকে সাবিবর হোসেন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪০৩৪) নামের একটি বাস বগুড়া ও সৈয়দপুর থেকে আজাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো জ-১৪-১০৮৬) ঢাকা যাচ্ছিল। বাস দুটি ঘটনাস্থলে পৌছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই উভয় বাসের চালকসহ ১২ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় উভয় বাসের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৩জন মারা যায়।
ঘটনার পর সেতু বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সেতু বিভাগের ট্রাফিক ম্যানেজার লেঃ কমোডর মুজাহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল, শহরের কমিউনিটি ক্লিনিক, আভিসিনা ক্লিনিক, মেডিনোভা ক্লিনিক, মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, আহতরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় সে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। সদর হাসপাতালের বাইরেও শহরের কয়েকটি ক্লিনিকে রোগী ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ পরিবহনের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।