Connect with us

খেলাধুলা

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ডময় জয়

Published

on

স্পোর্ট স ডেস্ক:   বাঘের গর্জনে তছনছ হলো স্কটিশরা। সব শঙ্কাকে টেক্কা দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে রের্কড ৩১৯ রানের টার্গেট ৬ উইকেট হাতে রেখেই জিতলো বাংলাদেশ। যা টাইগারদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্ব্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রের্কড। এ জয়ে টাইগারদের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন আরো উজ্জল হলো। নেলসনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩১৮ রান করে স্কটল্যান্ড। জবাবে, তামিম মুশফিক সাব্বিরদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

পাহাড়সম রান বলেই ছিলো স্নায়ু চাপ। তবে, সব চাপকে চাপা দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্ব্বোচ্চ ৩১৮ রানের কঠিন টার্গেট পেরিয়ে প্রত্যাশার প্রাপ্তির আনন্দ টাইগার শিবিরে। এ জয়ে স্বপ্নীল কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে এক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।যদিও, নেলসনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানেই স্কটিশদের ২ উইকেট তুলে দাপটটা ছিলো মাশরাফি তাসকিনদের। কিন্তু, ম্যাসান ও কোয়েতজারের ব্যাটিং চোখ রাঙ্গাছিলো। তবে, পার্ট টাইম বোলার সাব্বিরের ব্রেক থ্রু’তে ৩৫ রানে প্যাভিলিয়নে ম্যাসান। কিন্তু, পরের সময়টা বাংলাদেশের বোলাদের দু:সময়ে পেরিয়েছে। বিশ্বকাপে স্কটিশদের যে কোন জুটিতে ১৪১ রানে যোগ করেন অধিনায়ক মমসেন ও খেপাটে কোয়েতজার। মমসেন ফেরেন ৩৯ রানে। তবে, উইকেটের চার পাশে দুর্দান্ত ব্যাট করে ১৫৬ রানে ইনিংস খেলে থামেন কোয়েতজার। তবে, আউটের খাতায় নাম লেখানোর আগে প্রথম স্কটিশ হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে সেঞ্চুরি আর ব্যাক্তিগত রান তোলার রের্কড গড়েন তিনি।

শেষ পর্যন্ত বার্নিটনের ২৬ ও ক্রেসের ২০ রানে ৩১৮ রানের বিশাল স্কোর পায় স্কটিশরা। টাইগার পেসার তাসকিন নেন ৩ উইকেট। হিমালয় সমান রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানে সৌম্যকে হারালে, বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয়ে ভয় জাগে। কিন্তু, সতীর্থ এনামুলের চোট যে তাতিয়ে রেখেছিলো তামিম রিয়াদকে তা তো আর আঁচ করতে পারেনি স্কটিশরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসকিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে, ২য় উইকেট জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করে রিয়াদ ফেরেন ৬২ রানে।

ক্যারিয়ারে ২৮তম ফিফটি হাঁকানোর সাথে, দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করেন তামিম। নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়ে ফেরেন ৯৫ রান করে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *