দেশজুড়ে
স্ত্রী ও কন্যার স্বীকৃতির দাবীতে স্বামীর বাড়ির সামনে ২২ দিন যাবৎ অবস্থান
এর মধ্যে গত ১১ আগষ্ট ১০১৫ইং সালে রাজশাহীর নওদাপাড়া সূর্যের হাসি ক্লিনিকে কমলীকে বাচ্চা হওয়ার জন্য ভর্তি করে এবং একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
অসহায় স্ত্রী কমলী এ প্রতিবেদককে বলেন, সব ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু হঠাৎ গত তিন মাস যাবত আমার ও আমার সন্তানের কোন খরচ দেয় না, এমনকি কোন প্রকার যোগাযোগ করে না। অবশেষ নিরুপায় হয়ে গত ২০ জুন আমি তার বালাহৈর দূর্গা মন্দিরের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু দুলাল আগাম সংবাদ পেয়ে গা ঢাকা দেয়। আমি সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২২ দিন যাবত এই বাড়ির সামনেই অবস্থান নিয়ে আছি আমার এবং আমার কন্যা সন্তানের স্বীকৃতির জন্য।
কমলী অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি একটি অসহায় আদিবাসী মেয়ে আমাদের অনেক সংগঠন আছে আমাদের সাহায্য করার জন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত কেউ আমার পাশে এসে দাঁড়াইনি। আমার সন্তানের পিতারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অথচ কিছু নামধারী নেতা আমার কাছে বার বার আসে লোভ দেখায় কিছু টাকা নিয়ে বিষযটি মিটিয়ে নিতে। আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও সেখানেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
কমলী আক্ষেপ করে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এই সভ্য সমাজে আমার নিস্পাপ অসহায় কন্যা সন্তান কি তার বাবার ভালোবাসা পাবে না? পাবে না সমাজে স্বীকৃতি। আমি কি স্ত্রীর মর্যাদা পাবো না? এই দাবী সকল সভ্য সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে।
অপরদিকে দুলালের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে বাসা বাড়িতে নেই বলে জানান। কোথায় গেছে তাও বলতে পারে না। ২২ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে।