Connect with us

দেশজুড়ে

স্ত্রী ও কন্যার স্বীকৃতির দাবীতে স্বামীর বাড়ির সামনে ২২ দিন যাবৎ অবস্থান

Published

on

Stri & Konnar Dabi, Niamatpur Pic From Tofaggol 13.07নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রী ও কন্যার স্বীকৃতির দাবীতে স্বামীর বাড়ির সামনে ২২ দিন যাবত অবস্থান নিয়েছে এক অসহায় আদিবাসী নারী। তাকে সহযোগিতা করার জন্য আইন কিংবা কোন আদিবাসী নেতাও এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ ২২দিন যাবত স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিলেও এগিয়ে আসেনি স্থানীয় কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায, উপজেলার নিয়ামতপুর সদর ইউপির দোস্তপুর কোঁচপাড়ার অবলা কান্তর ছেলে দুলাল (৪০) দীর্ঘ ১২ বছর যাবত একই গ্রামের আদিবাসী বিহারী খালকোর নাবালিকা কন্যা কমলীকে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে এবং উত্তক্ত করে আসছিল। কমলী প্রথমে রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত দুলালের প্রস্তাবে রাজি হয় তিন বছর পূর্বে। চলে ছয় মাস প্রেম। অবশেষে আড়াই বছর পূর্বে দুলাল তাঁর বালাহৈর দূর্গা মন্দিরের কাছে নিজ বাড়িতে কমলীকে নিয়ে এসে শাঁখা সিদুঁর পরিয়ে বিয়ে করে। প্রায় দেড় বছর যার যার মত নিজ নিজ বাড়িতে থাকে। অবশেষে দেড় বছর পূর্বে দুলাল স্ত্রী কমলীকে রাজশাহীর শাহমুখদুম থানার সপুরা মহল্লার রায়পাড়ায় বাসা ভাড়া করে রেখে আসে এবং সে নিয়মিত খরচ প্রদান করে। কমলী গর্ভবতি হয়।
এর মধ্যে গত ১১ আগষ্ট ১০১৫ইং সালে রাজশাহীর নওদাপাড়া সূর্যের হাসি ক্লিনিকে কমলীকে বাচ্চা হওয়ার জন্য ভর্তি করে এবং একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
অসহায় স্ত্রী কমলী এ প্রতিবেদককে বলেন, সব ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু হঠাৎ গত তিন মাস যাবত আমার ও আমার সন্তানের কোন খরচ দেয় না, এমনকি কোন প্রকার যোগাযোগ করে না। অবশেষ নিরুপায় হয়ে গত ২০ জুন আমি তার বালাহৈর দূর্গা মন্দিরের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু দুলাল আগাম সংবাদ পেয়ে গা ঢাকা দেয়। আমি সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২২ দিন যাবত এই বাড়ির সামনেই অবস্থান নিয়ে আছি আমার এবং আমার কন্যা সন্তানের স্বীকৃতির জন্য।
কমলী অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি একটি অসহায় আদিবাসী মেয়ে আমাদের অনেক সংগঠন আছে আমাদের সাহায্য করার জন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত কেউ আমার পাশে এসে দাঁড়াইনি। আমার সন্তানের পিতারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অথচ কিছু নামধারী নেতা আমার কাছে বার বার আসে লোভ দেখায় কিছু টাকা নিয়ে বিষযটি মিটিয়ে নিতে। আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও সেখানেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
কমলী আক্ষেপ করে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এই সভ্য সমাজে আমার নিস্পাপ অসহায় কন্যা সন্তান কি তার বাবার ভালোবাসা পাবে না? পাবে না সমাজে স্বীকৃতি। আমি কি স্ত্রীর মর্যাদা পাবো না? এই দাবী সকল সভ্য সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে।
অপরদিকে দুলালের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে বাসা বাড়িতে নেই বলে জানান। কোথায় গেছে তাও বলতে পারে না। ২২ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *