বিবিধ
স্বাস্থ্য সমস্যা অ্যালার্জি সম্পর্কে আজই জেনে নিন
আপনার কি একসঙ্গে অনেকগুলো হাঁচি হয়? অথচ কিছুক্ষণ পরে আবার সেরে যায়? মাঝে মধ্যেই গায়ে র্যাশ বের হয় অথচ বুঝতে পারছেন না কেন এইরকম হয়? এর কারণ হতে পারে অ্যালার্জি। অনেক সময় আমরা নিজেরে বুঝতে পারিনা কী থেকে আমাদের আলার্জি হয়। অ্যালার্জি মূলত ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডারের অন্য নাম। আপনার তবে অ্যালার্জি হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। জেনে নিন অ্যালার্জির কারণ, লক্ষন এবং সুস্থ থাকার বিশেষ কিছু টিপস সম্পর্কে। অ্যালার্জি হওয়ার লক্ষণ ১। বার বার হাঁচি দেওয়া, সর্দি হওয়া ২। চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ চুলকানো ও লাল হয়ে যাওয়া ৩। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ৪। ডায়রিয়া হওয়া ৫। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ৬। শরীরে কোন র্যাশ বের হওয়া ৭। জ্বর আসা, বমি হওয়া ৮। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ৯। গলা এবং জিভ শুকিয়ে আসা, গলা খুশখুশ করা কী করে বুঝবেন অ্যালার্জি হয়েছে যে কোনও একটি সিম্পটম দেখে যদি বুঝতে না পারেন আপনার অ্যালার্জি হয়েছে কি না, তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সঙ্গে নিজেকে নানা প্রশ্ন করে খাতায় লিখে রাখুন। এতে আপনার এবং যখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তার বুঝতে অসুবিধা হবে না। যেমন- ১। এই ধরণের সমস্যা কখন হয়। বছরে কোন নির্দিষ্ট সময়ে নাকি নির্দিষ্ট কিছু খেলে এই সমস্যায় পড়েন। ২। শরীরের কোন অংশে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া হয় ৩। এই প্রতিক্রিয়ার জন্য আপনি কতটা অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪। বাড়ি পরিষ্কার করার সময় বারবার হাঁচি হয় কিনা ৫। কী ধরণের খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬। আপনার পোষা প্রাণী কাছে এলে কোন সমস্যা হয় কি না বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জি ১। ডাস্ট আলার্জি: বাড়িতে তোশক, বালিশ, বিছানা বা পুরনো জিনিসে যে ময়লা থাকে সেগুলো থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে ২। কসমেটিক অ্যালার্জি: ময়েশ্চারাইজার, ডিউডোরেন্ট, শ্যাম্পু, মেকআপ থেকে অ্যালার্জি হলে তাকে কসমেটিক অ্যালার্জি বলে। এর ফলে ত্বকে ইরিটেশন লক্ষ্য করা যায়। ৩। এগজিমা: সাধারণত ত্বকে কোনও কিছু সহ্য করতে না পারলে ইরিটেশন র্যাশ বেড়িয়ে এগজিমা হয়। ৪। সান অ্যালার্জি: সূর্যের আলো অনেকের সহ্য হয় না। সেই থেকে সান অ্যালার্জি হয়। ৫। ফুড অ্যালার্জি: অনেক সময় খাবার থেকে নানা ধরণের অ্যালার্জি হয়। যেমন- ডিম, দুধ, ময়দা, সি-ফুড থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। ৬। ল্যাটেক্স অ্যালার্জি: ল্যাটেক্স বা ন্যাচারাল রাবার থেকে অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জি রোধ করতে যা করবেন ১। ধুলোময়লার সমস্যা হলে বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বেডকাভার বা বালিশের কাভার বদলানোর সময় নাকে রুমাল বেঁধে নিন। ২। সপ্তাহে একবার সারাবাড়ি ভালোমতো পরিষ্কার করুন। ৩। বাড়ির সব জানালা দরজা সকালবেলা খুলে দিন যাতে ঘরে যথেষ্ট আলোবাতাস আসতে পারে। ৪। বাড়িতে কোন পোষা প্রাণী থাকলে কখনো বেড রুমে রাখবেন না। ওদের শোয়ার ব্যবস্থা আলাদা ভাবে করুন। ৫। ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করুন। ৬। যে সব খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তা যতই সুস্বাদু হোক না কেন খাওয়া বন্ধ করুন। ৭। যদি দেখেন দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হচ্ছে তাহলে দুধের বদলে ছানা বা দই খান। ৮। অনেকেই বেগুন খেতে পারেন না। খেলেই মুখ চুলকায়। সে ক্ষেত্রে বেগুন ভাঁজা বা বেগুন তরকারি না খেয়ে বেগুন ভর্তা খেতে পারেন। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেগুনের বিচি থেকেই মুখ চুলকায়। বেগুনের ভর্তা খেলে এই সমস্যা থাকে না। ৯। চিংড়ি মাছে সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব কম খান। খেতে ইচ্ছা হলে ভাত বা নুডলসের ভিতরে অল্প পরিমাণে কুচো চিংড়ি দিয়ে খেতে পারেন।