কুড়িগ্রাম
হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসক ও দালালদের গনপিটুনী !
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও দালালদেরহাতে গনপিটুনির শিকার রোগীর এক স্বজন আব্দুল আলীমকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃত হৃদ রোগে আক্রান্ত নবীর উদ্দিনের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে জামাতা আব্দুল আলীমের সাথের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হেলাল মিয়ার কথা কাটাকাটি ঘটনা ঘটে।
এর এক পর্যায়ে ডাঃ হেলাল উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারী ও দালালদেরকে তাকে পেটানোর হুকুম দেয়। পরে গণপিটুনীর পর হাসপাতাল কতৃপক্ষ আব্দুল আলীমকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে মামলা দেয়। পরে সন্ধায় আব্দুল আলীম থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বাবা সোমাইল হোসেনর জিম্মায় দিয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর হার্টের সমস্যা ও প্রেসার ২৪০/১২০ থাকায় দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইসতেশাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামী আব্দুল আলীম থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য বাবা সোমাইল হোসেনর জিম্মায় দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, রোগীর প্রেসার ২৪০/১২০ হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর সভার খলিলগঞ্জ এলাকার নবীর উদ্দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।
রোগীর স্ত্রী মোরশেদা বেগম তার স্বামীকে দেখানোর জন্য রাউন্ডে থাকা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ হেলাল মিয়াকে অনুরোধ জানায়। এসময় ডাঃ হেলালের অনুমতি না নিয়ে কেবিন বরাদ্দ দেওয়ায় ঐ কেবিনে রোগী দেখতে অসম্মতি জানায়। এরপর রোগীর জামাতা আব্দুল আলীম খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে রাউন্ডে থাকা ডাঃ হেলালকে কাকতি-মিনতি করে কেবিনে নিয়ে এসে রোগী দেখায়। কেবিন থেকে ডাঃ বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডাঃ হেলাল এবং রোগীর জামাতা মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মচারী ও দালালরা আব্দুল আলীমকে গণপিটুনী দিয়ে আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নজরুল ইসলামের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে আবাসিক চিকিৎসকের সামনে আবারো হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এদিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ দাবী করে এ ঘটনায় ডাঃ হেলাল মিয়া আহত হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর