Connect with us

রাজনীতি

হাসিনার টার্গেট বিএনপিকে ধ্বংস করা: খালেদা জিয়া

Published

on

khaledaবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টার্গেট বিএনপি। তাই বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। হাসিনা মনে করছে বিএনপি ধ্বংস হলেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত হবে। বিএনপি ধ্বংস করতে পারলেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও নিরাপত্তা নেই। যে কোনো সময়ে যে কোনো স্থানে ঘটনা ঘটতে পারে। এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অথচ আজ কোনো মানুষের জীবন নিরাপদ নয়।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এই অভিযান কাদের বিরুদ্ধে। এই যে বিদেশি হত্যা করা হলো। কোনো ঘটনায় কাউকে ধরতে পারলো না। সাঁড়িশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অন্য দলের লোককে গ্রেপ্তার করা হলো। ১৬ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হলো। কয়জন অপরাধী?
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যাদের ধরা হলো তারা মানবতার জীবনযাপন করছে। যাকে খুশি ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে দিলো। কে বেচে থাকলো কে মরে গেলো মা বাবা জানলো না। ৩ হাজারের ওপর বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে ছাড়া হলো না।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধ করুন। সত্যিকারের অপরাদীদের গ্রেপ্তার করুন। আমরা সহযোগিতা করবো। অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন চালাবেন না।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় কিন্তু স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর হাসিনার নিরাপত্তার জন্য না কি মসজিদে আযানও দেওয়া যাবে না। আজকে মসজিদে মাইকে আযান পর্যন্ত দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে কি কোনো উদ্দেশ্য আছে হাসিনার। হিন্দুদেরও মন্দির ভেঙ্গেছে। জমি দখল করছে। কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। কারণ ছাত্রলীগ এসব ঘটনায় জড়িত।
দেশের আইনের শাসন বলতে কিছু নেই বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানুষ জুলুম অত্যচার বন্ধ চায় । কিন্তু তা বেড়েই চলছে। সারাদেশকে লুটপাট চলছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার কোটি টাকা চুরি হচ্ছে। যার কোনো হিসাব নেই। শফিক রেহমানের দোষ কি। ৩শ মিলিয়ন ডলার যে লোপাট করেছে আমেরিকায় তদন্ত চলছে সেই কাগজপত্র তার কাছে ছিলো। সেজন্য তিনি জেল খাটছেন। জয়কেও এখানে আনা উচিত। বিচার করা উচিত। তাহলে সত্যিকারের বিচার করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সাজাপ্রাপ্ত তিনমন্ত্রী মন্ত্রীসভায় হাজিরা দেয়। তাদেরকে নাকি পুলিশ খুঁজে পায় না। অথচ বিএনপির লোকদের ঘর থেকে আটক করা হচ্ছে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ঢাকায় সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জনগণের সঙ্গে মিশলেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আশা করেন খালেদা জিয়া ।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, নিবার্হী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, ইউনুছ মৃধা, আবুল বাসেদ আঞ্জু ,নাসিমা আক্তার কল্পনা, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেছারুল হক, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খাঁন প্রমুখ।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপা-উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ। এবং ইফতার মাহফিলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *