দিনাজপুর
হিলিতে গৃহ বধুকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা আটক ২
প্রতিবেশি, পুলিশ ও বিভিন্ন সুত্র জানায়, হাকিমপুর উপজেলার ধরন্দা গ্রামের আব্দুল লতিফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার ধানধড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের মেয়ে উম্মে কুলসুমার (১৮)। বিয়ের পর থেকে কুলসুমার উপর নেমে আসে যৌতুকের কালো থাবা। প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের লোকজনেরা। বিয়ের ৩ মাসের সংসারে অনেক অপমান সইতে হয়েছে উম্মে কুলসুমার বাবা-মাকে। কিন্তু গরীব পরিবার হওয়ায় যৌতুক দিতে না পারায় উম্মে কুলসুমার বাবা-মার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে স্বামী ও শ্বশুর-শ্বশুড়ীরা। চালাতো কুলসুমার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে আবারও যৌতুকের দাবী জানিয়ে উম্মে কুলসুমার সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে সাজ্জাদ সহ তার পরিবারের লোকজনেরা। এনিয়ে সবাই মারধর করলে কুলসুমা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনা বেগতিক দেখে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের লোকজনেরা কুলসুমার মরদেহ ঘরের বর্গার সঙ্গে বেঁধে রাতেই প্রতিবেশিদের মাঝে প্রচার করে কুলসুমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, ওই রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ উম্মে কুলসুমার মরদেহ তার স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে থানায় আনে। একইসঙ্গে তার স্বামী সাজ্জাদ ও শ্বাশুড়ী রোকসানা বেগমকেও আটক করা হয়। পরে কুলসুমার মরদেহে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে তার গলায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে হত্যার পর তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় উম্মে কুলসুমার বাবা আফতাব উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় কুলসুমার স্বামী সাজ্জাদ, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী সহ ৯ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছে। মামলা নং ৮।