দিনাজপুর
হিলিতে পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে প্রভাষক নিহত
শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বদিউজ্জামান সুজন উপজেলার বৈগাম গ্রামের মৃত সেলিম মাষ্টারের ছেলে ও পুলিশের এএসপি নাজনীল ফেরদৌসির ছোট ভাই। ওই ঘটনায় মাসুদ রানা (৩৪) নামের বৈগ্রাম যুব উন্নয়ন ক্লাব এন্ড লাইব্রেরীর অপর এক সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানায়, বৈগ্রাম বাজারের পার্শ্বে দুই বিঘা আকারের একটি খাস পুকুর স্থানীয় বৈগ্রাম যুব উন্নয়ন ক্লাব এন্ড লাইব্রেরী লিজ নিয়ে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। অপরদিকে একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম, ছেলে রবিউল ইসলামসহ তার পরিবার পুকুরটি তাদের মালিকানা বলে দাবী করে আসছিলেন। যেটি নিয়ে আদালতে মামলাও চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে বৈগ্রাম যুব উন্নয়ন ক্লাব এন্ড লাইব্রেরীর সভাপতি ও যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান সুজনসহ ক্লাবের সদস্যরা পুকুরটিতে কচুড়িপানা পরিষ্কার করতে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষ সফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রবিউল ইসলামসহ তাদের পরিবারের লোকজন তাতে বাধা দিলে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে রবিউল ইসলাম তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বদিউজ্জামান সুজনের মাথায় সজোরে আঘাত করলে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় লাঠির আঘাতে মাসুদ রানা নামের অপর একজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত সুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পথিমধ্যে মারা যান সুজন। এদিকে সুজনের মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত রবিউলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে এসে তা দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই হামলাকারী রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সবুর জানান, মামলাধীন একটি পুকুরের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলাম যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সুজনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এতে সে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারে লোকজনের নামে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারী রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। পাশাপাশি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।