Connect with us

দিনাজপুর

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছে বিশেষ মেডিকেল টিম

Published

on

HILI ZIKA VIRUS NEWSরাসেল হাসান, হিলি প্রতিনিধি: ক্যারিবীয়, দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশের মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের হিলি আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে কাজ শুরু করছে বিশেষ মেডিকেল টিম। তবে বন্দর দিয়ে দু-দেশের মাঝে আমদানি রফতানিকৃত পন্য নিয়ে যাতায়াত কারী ট্রাকেরচালক ও তাদের সহকারীদের পরিক্ষার ব্যাবস্থা না থাকায় তাদের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে কয়েকদিন পূর্বে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও সোমবার থেকে হিলি আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পাসপোর্টের মাধ্যমে যাতায়াতকারী যাত্রীদের শারীরিক চেকআপ ও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাতে জিকা ভাইরাসের জীবানু প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিশেষ মেডিকেল টিম। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুশিফটে এ মেডিকেল টিম কাজ করবে।
হিলি আর্ন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মাঝে পাসপোর্টে যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে একটি মেডিকেল টিম তাদের শারীরিক কিছু পরিক্ষা এবং জ্বর বা শারীরিক কোন সমস্যা আছে কিনা জিকা ভাইরাস সম্পর্কে জানেন কিনা এমন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পূর্ন করতে দিচ্ছে।
সোমবার সরেজমিন হিলি আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে গিয়ে দেখা যায় জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছেন। ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে আগমনকৃত এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে গমনকৃত প্রত্যেক পাসপোর্ট যাত্রীদের স্কানিং করা হচ্ছে এবং জ্বর বা শারীরিক অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা এমন জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বিষয়টি চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুশ ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানীকৃত পন্য নিয়ে আসে। এসব ভারতীয় ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারীদের কোন চেকআপের ব্যাবস্থা নেই। তেমনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানিকৃত পন্য নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী ট্রাকের চালক ও তাদের সহকারীদের ভারতে পন্য খালাস করে পুনরায় দেশে প্রবেশের সময় কোন চেকআপের ব্যাবস্থা না থাকায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুলতান মাহমুদ জানান, কর্তপক্ষের নির্দেশে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে তিনজন ডাক্তার, দুইজন মেডিকেল এ্যসিসটেন্টের ও একজন সিস্টারের সমন্বয়ে সাত সদস্য বিশিষ্ঠ একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্য্র। তারা সার্বক্ষনিক এবিষয়ে সচেতন রয়েছে। এছাড়াও হিলি স্থলবন্দরের হিলি আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে রোষ্টার অনুযায়ি সকালে দুইজন বিকেলে দুই জন মেডিকেল এ্যসিসটেন্ট সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই শিফটে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোন যাত্রিকে সন্দেহজনেক মনে করলে জিকাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত মেডিকেল টিম সেক্ষেত্রে তাদের ব্যাবস্থা নিবেন।
হিলি আর্ন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুজ্জামান জানান, হিলি আর্ন্তজার্তিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মাঝে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাস নামে কোন ভাইরাস পরিলক্ষিত হয়নি। এখানে একটি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চত হওয়ার পরেই পাসপোর্ট ছাড়করন দেয়া হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *