কুড়িগ্রাম
১৬২টি ছিটমহলে যৌথ সমীক্ষা শুরু
কুড়িগ্রাম : বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলগুলোর নাগরিকত্ব নির্ধারণ এবং হেড কাউন্টিং হালনাগাদে সোমবার (৬ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে যৌথ সমীক্ষা। উভয়দেশের সমান সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর সমন্বয়ে ১০জন সুপারভাইজার এবং ১৫০ জন গণনাকারীর যৌথ সমীক্ষা দল ছিটমহলগুলোর নাগরিকত্ব নির্ধারণে কাজ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরের ১৬২টি ছিটমহলে একই সঙ্গে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের এবং ৫১টি ছিটমহল ভারতের অন্তর্ভূক্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে অবস্থিত ভারতের ১২টি ছিটমহলে নাগরিকত্ব নির্ধারণ ও হেড কাউন্টিং হালনাগাদে যৌথ সমীক্ষা দলে দু’দেশের ৬ জন সুপারভাইজার এবং ২২ জন গণনাকারী নিয়োজিত করা হয়েছে।
সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী উপজেলার ভেতরে অবস্থিত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামে সদ্য যোগদানকরা জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন।
উভয়দেশের সমান সংখ্যক যৌথ সমীক্ষা দল ছিটমহলগুলোর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনগণনা চালাবেন। ২০১১ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত দু’দেশের যৌথ হেড কাউন্টিংয়ে নাম রয়েছে তারা এবং এর পরবর্তীতে জন্মগ্রহণকারী তাদের সন্তানরা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন। সেইসঙ্গে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ কিংবা ভারতের নাগরিকত্ব বহাল রেখে সে দেশে যেতে আগ্রহী হলে তার তথ্য নির্ধারিত ফরমে সংগ্রহ করা হবে। এমন ব্যক্তি আগামী ১ আগষ্ট থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তার ইচ্ছে অনুযায়ী সে দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়া নাগরিকত্ব নির্ধারণ ও হেড কাউন্টিং হালনাগাদ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতা এড়াতে ২২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছিটমহলের জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো বিজ্ঞপ্তি আকারে ছিটমহবাসীদের জানানো হয়েছে।