দেশজুড়ে
নড়াইলে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ২য় দফায় কাজ শুরু
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল:
নড়াইলের প্রশাসনের প্রচন্ড চাপে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ২৩ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত চল্লিশ দিনের মধ্যে করার কথা থাকলেও সাতচলিশ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের। ফলে অনেক প্রকল্পে সংশ্লিষ্টদের গচ্ছাও দিতে হচ্ছে। জানা যায়, ওই প্রকল্পগুলি নিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম রেজা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের চাপে পড়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের মোটা অংকের টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। এ সুযোগে এলাকার লোকজনও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের চাপে ফেলে বেশি কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কাজ সমাপ্তির নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ওই ২৩ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়। গত দুদিন বিভিন্ন প্রকল্প এরাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা হাহুতাশ করছেন। ওই প্রকল্পগুলি পাশ হয় ২৫ নভেম্বর। কাজ শুরু হয় গত বছর ২৮ নভেম্বর। কাজ শেষের মেয়াদ চলতি ২০ জানুয়ারি থাকলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪০ দিনের এ কাজে অনিয়ম হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়। এরপর উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময় পার হবার পর ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি শালনগর ইউনিয়নের আজমপুর ইউনুচের বাড়ি থেকে টেপু মিয়ার জমি পর্যন্ত রাস্তা মাটিদ্বারা সংস্কার প্রকল্পের কাজ চলছে। এমনকি স্থানীয় লোকজনের আবদার মেটাতে প্রকল্প শেষের নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত পার হবার পরও আরো দেড় থেকে দুইশত গজ লম্বা রাস্তা নির্মাণ করতে হয়েছে। ওই প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত আসনের মেম্বর রিজিয়া বেগম বললেন, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম রেজা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামের প্রচন্ড চাপে পড়ে দ্বিতীয় দফায় বেশি কাজ করতে হলো। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লাবু মিয়া বললেন, দ্বিতীয় দফায় কাজ করতে এসে এলাকার লোকদের মন রাখতে দেড় থেকে দুইশত গজ লম্বা রাস্তা বেশি নির্মাণ করতে হয়েছে। ওই এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ও সাজ্জাদ খান বলেন, প্রকল্প আগে যেখানে শেষ হয়েছিল তাতে খুব বেশি আমরা উপকৃত হতাম না, কিন্তু চেয়ারম্যান কে অনুরোধ করায় রাস্তা একদম বিল পর্যন্ত করে দিয়েছে। ফলে বিল থেকে সহজে ফসল আনতে পারবো। জয়পুর ইউনিয়নের আস্তাইল গুচ্ছগ্রামের রাস্তা থেকে পূর্ব দিকের রাস্তা মাটি দিয়ে সংস্কার প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় সেখানে শ্রমিকরা কাজ করছেন। প্রকল্প সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাজ করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক প্রকল্পেই সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা করেছি। কাজের মান অনেকটাই ভালো হয়েছে। চলিশ দিনে কাজ সমাপ্তির কথা থাকলেও মাঝে কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকায় সময় শেষ হলেও সেই অসমাপ্ত কাজ সংশ্লিষ্টরা পুনরায় করছেন। লোহাগড়া উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সেলিম রেজা এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পরবর্তী বিল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, কোন প্রকল্পেই চুরি করতে দেয়া হবে না। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে এলাকার লোকদের আরো সচেতন হবার আহবান জানান।
Highlights
লালমনিরহাটে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে থাকায় বর্বরোচিত হামলা, আহত ৭
দেশজুড়ে
বৃহৎ চরাঞ্চলে জাপা সেক্রেটারির একক প্রার্থীতা ঘোষণা
দেশজুড়ে
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস