Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অপসারন না হলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান-চাউল সরবরাহ না করার হুমকী মিলারদের

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সরকারী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হকের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন বোরো সংগ্রহ অভিযানে ধান-চাউল সরবরাহ চুক্তি না করার ঘোষনা দিয়েছে মিল-চাতাল মালিকরা।

বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরী উপজেলা মিল-চাতাল মালিক সমিতি এক জরুরী বৈঠকে এ ঘোষনা দেন। এতে করে সরকারের ধান-চাউল সংগ্রহ অভিযানে জটিলতা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ বছর ধরে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছা চারিতায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন মিল-চাতাল মালিকরা। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অপসারনের দাবীতে খাদ্য মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মিলাররা অভিযোগ করেন, মোঃ ফজলুল হক দুই বছর আগে নাগেশ্বরী উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। গত ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ বোরো ও আমন সংগ্রহ মৌসুমে নিজের পারিবারিক অসুবিধা এবং খাদ্য সরবরাহে মিলারদের সুবিধা দেয়ার কথা বলে কিছু সংখ্যক মিলারের নিকট থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা কর্জ নেন। পরবর্তীতে তা পরিশোধের কথা থাকলেও নানা অজুহাতে পরিশোধ করেননি।

এছাড়াও বোরো মৌসুমে ধান ও চালের গুনগত মান থাকা সত্বেও মিল মালিকদের নিকট থেকে বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা আদায় করেন। মিলাররা টাকা দিতে আপত্তি জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাউল ফেরত দেন। এর আগে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনির হাট খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন কালে মোঃ ফজলুল হক ভুয়া ড.ছ.ঝ.ঈ বিল করে ১০ লাখ ৩৫হাজার ১শ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে নি¤œ শ্রেনীর কর্মচারীর উপর দোষ চাপিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।

সরকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও স্বনামে-বেনামে নিজস্ব পরিবহনে টি.আর, জি.আর ও কাবিখা খাতের মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সরকার জানান, ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা ফজলুল হক একজন ধুরন্দর ও দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তি। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মে আমাদের ব্যবসা লাটে উঠার উপক্রম হয়েছে। বাধ্য হয়ে তার অপসনের দাবীতে উপজেলার ৭০ মিল-চাতাল মালিকের মধ্যে ৬৬ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত তার অপসারন চাই। এ কর্মকর্তাকে অপসারন করা না হলে আসন্ন ধান-চাউল সংগ্রহ অভিযানে সরকারের সাথে কোন চুক্তি করা হবে না। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ষড়যন্ত্র মূলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্ল্যা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতি মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, ফজলুল হকের বিরুদ্ধে মিল-চাতাল মালিকদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল করিম ও নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *