Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জমে উঠেছে কুড়িগ্রামে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ক্ষামতাসীন দল আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থীর একজন হলেন মোঃ জাফর আলী আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি।
অপরজন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি পনির উদ্দিন আহমেদ কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ জাফর আলী আওয়ামীগের সমর্থন পাওয়ায় নির্বাচনে দলীয় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করছেন অপর প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ। তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরি করতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিলি প্রদান করেন।
অন্যদিকে পনির উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত পরাজয় জেনে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেই চলেছেন বলে জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জাফর আলী।
৯টি উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২শ ৩৬জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭শ ৭৬ জন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৭ জন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৯ উপজেলায় মোট ১৫টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে জয়লাভ করতে প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠ চষে বেড়ালেও মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ভোটাররা। চেয়ারম্যান পদে দুজনেই আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত ভোটারদের ভোট পাওয়ায় দাবি করছেন দুজনই। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রায় ৪ শতাধিক ভোটারের সমর্থন যে পাবে তারই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক একটি ভোট কেনার বিষয়টি শহর ও গ্রামে আলোচনার ঝড় তুললেও ভোটাররা তা অস্বীকার করছেন। তবে ভোটারদের উৎফুল্ল আবেগ ঘোরা-ফেরার বিষয়টি চোখে পড়ছে সকলের। প্রতিদিনই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ভীড় করছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের চেয়ারম্যার ও মেম্বার ভোটাররা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *