ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ইউনয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। জাসদ দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এ উপজেলায় মোট পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
সংশি¬ষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে এলাঙ্গী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আটজন প্রার্থী,বলুহর চেয়ারম্যান পদে ৭জন, সংরক্ষিত মহিলা ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৫ জন, সাব্দারপুর চেয়ারম্যান পদে ৪জন, সংরক্ষিত মহিলা ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন,দোড়া চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জন এবং কুশনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন নিতে একাধিক প্রার্থী মাঠে প্রচারনা চালালেও মনোনীত হতে না পেরে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জানা দিয়েছেন।
দলীয় বিবেচনার সঙ্গে ব্যক্তি ইমেজও দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সৎ, যোগ্য ও এলাকার উন্নয়ন যে করবেন এমন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেবেন ভোটাররা। এদিকে প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষমতাসীন আ.লীগের জেলা-উপজেলা নেতারা তৃণমূল নেতাদের মতামত না নিয়েই কেন্দ্র তালিকা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কুশনা ইউনিয়নের প্রার্থী কেএএম হিলারিং। তিনি এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীসহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডেও চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জন রায় থাকবে আমারই পক্ষে। জামায়াত অধ্যাষিত এলাকা হলেও গত নির্বাচনে মাত্র ১২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান, আমরা যাবাই বাচাই করেই কেন্দ্রে তালিকা পাঠিয়েছি। এখন সিন্ধান্ত কেন্দ্র নিবেন। তবে এলাকার মানুষ পৌর নির্বাচনের মতো উন্নয়নের মার্কা নৌকায় ভোট দিয়ে সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান জানান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সবকটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করবেন। বিএনপি কোন অবস্থাতেই নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবে না। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান আলী জানান, দলীয় ভাবে যারা মনোনীত হয়েছেন। নেত্রীর স্বাক্ষরিত কাগজ আমরা হাতে পায়নি। লিখিত তালিকা না আসা পর্যন্ত সঠিক করে তাদের নাম ঘোষনা করা যাচ্ছে না। এটা অনেক সময় পরিবর্তন হতে পারে।
অপরদিকে কুশনা ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাইয়ের জেলার নেতারা অনিয়ম করার কারণে ইউনিয়ন কমিটি ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। ভোটারদের দাবি নির্বাচনের দিন উৎসবমূখর পরিবেশে কোন রকম ভয়ভীতি ছাড়াই ভোট প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।