দেশজুড়ে
ফরিদপুরে বাস কাউন্টারে গোলাগুলিতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
খালেদুর রহমান, ফরিদপুর: ফরিদপুরে বাস কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় আহত ছোটন বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোটন মারা যায়। এ ঘটনায় আহত গুলিবিদ্ধ অন্যরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অবস্থিত ঢাকাগামী পরিবহনের কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের মধ্যে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়। ক্ষমতাসীন দলের একটি গ্রুপ ওই বাস কাউন্টারটি দখল করতে গেলে সেখানে অবস্থানরত অপর গ্রুপ বাঁধা দেয়। এতে উভয় গ্রুপের মাঝে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে মারাত্বক ভাবে আহত হয় অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এস এম কামাল ও অম্বিকাপুর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ছোটন বিশ্বাস। গুলিবিদ্ধ দুজন স্থানীয় খালে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামালের পেটে এবং যুবলীগ নেতা ছোটন বিশ্বাসের গুলি লাগে মাথায়। এছাড়া হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় নয়ন ও বাবলু নামের আরো দু’জন।
মারাত্বক আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ছোটন বিশ্বাসের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপরদিকে আহত কামালের গুলি অপসারণ করার পর তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে।
এ ঘটনায় পরের দিন রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ৮ জনের নামেল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন ঢাকাগামী পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা এস এম কামরুজ্জামান। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, কবিরপুর গ্রামের মান্নান মন্ডলের পুত্র জুয়েল মন্ডল, ডোমরাকান্দি এলাকার সিরাজ প্রামানিকের পুত্র রানা প্রামানিক, ডোমরাকান্দি এলাকার মোতালেব মোল্যার পুত্র মিঠুন মোল্যা, চরমাধবদিয়া বেপারী ডাংগী গ্রামের কছিমউদ্দিন বেপারীর পুত্র জাহিদ বেপারী, গোয়ালচামট হেলিপোর্ট মোড়ের আঃ মান্নান মাষ্টারের পুত্র নঈম, কবিরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র পিকুল, সাজেদুল ও টিপু সুলতান। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার রাত ১০টার দিকে ৫/৭ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকা কাউন্টারে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা গুলি করে। এতে ছোটন বিশ্বাস, এস এম কামাল ও এস এম লাবলু গুরুতর আহত হয়। হামলায় রামদায়ের আঘাতে আহত হয় নয়ন বিশ্বাস। পরে মারাত্বক আহত অবস্থায় ছোটন বিশ্বাসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোটন বিশ্বাস মারা যায়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজিম উদ্দিন ছোটনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।