কুড়িগ্রাম
ফেলানী হত্যার ৫ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি পরিবার
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী। কাটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা লাশ ঝুলে থাকার ছবি দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। নড়ে-চড়ে বসে ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠন গুলো। ফলে ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচার কাজ শুরু করে বিএসএফ। শুনানী শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র আদালাত। আবারো সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুণঃ বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে একই আদালত। ২০১৪ সালের ২ জুলাই পুনরায় অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখে আদালত।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মাসুমের সহযোগীতায় রিট আবেদন করেছি। ভারতের সর্বোচ্চ এ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম জানান, আমার মেয়েকে কাটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। আমি ভারতের উচ্চ আদালতে তার ফাসি চাই।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের আইন সহায়তাকারী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, কাটাতারে ফেলানী হত্যার ৫ বছর হয়ে গেছে। ন্যায় বিচার না পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেছে ফেলানীর বাবা। রিট আবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার শুনানীর তারিখ নির্ধারন থাকলেও ব্রেঞ্চ পুণঃগঠনের কারনে আবারো পিছিয়ে গেছে বিচারিক কার্যক্রম। বিলম্ব হলেও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।
আলোচিত ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে বন্ধ হবে সীমান্ত হত্যা এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।