Connect with us

জাতীয়

শিশুশ্রম বন্ধে এখনই আইন করা সম্ভব নয় -শ্রম প্রতিমন্ত্রী

Published

on

mujibul haque chunnuস্টাফ রিপোর্টার:
শিশুশ্রম বন্ধে বাংলাদেশে এখনই আইন তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তার মতে, দারিদ্র্য ও নানা কারণে এখনও দেশে শিশুশ্রম বিদ্যমান রয়েছে। তাই কেবল আইন দিয়ে দেশে হাত-পা বেঁধে শিশুশ্রম বন্ধ করা এখনই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নীতিমালা হচ্ছে; যা আইনের পূর্ব পদক্ষেপের মতো কাজ করবে। তাছাড়া সচেতনতা বাড়িয়েই শিশুশ্রম কমানো যায়। গত কাল রাজধানীর একটি হোটেলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘শিশুদের জন্য জাতীয় ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতি-২০১৫’-এর খসড়া উপস্থাপন করতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। শিশুশ্রমের ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও নানা কারণে অনেক শিশুই শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে গড়ে ওঠে অদক্ষ শ্রমশক্তি। তবু কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) নীতিমালা এখনই আইন হিসেবে আসছে না। চুন্নু বলেন, এখনই আইন করে হাত-পা বেঁধে ফেলা ঠিক হবে না। তাছাড়া নীতিমালা মানেই কিন্তু আইনের একটি পদক্ষেপ। শিশুশ্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হবে। তিনি বলেন, শিশুশ্রম বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রয়েছে কৃষিখাতে। এখনই তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, বাস্তবতা বড়ই কঠিন। ইচ্ছে করলেই বাংলাদেশে রাতারাতি অনেক কিছুই বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা গার্মেন্টস সেক্টরে শিশুশ্রম বন্ধ রাখতে পারছি। অন্যখাতেও বন্ধ করা সম্ভব হবে। আইন ও নীতিমালা প্রণয়নে প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী চুন্নু। তিনি বলেন, গৃহকর্মীদের কল্যাণে উদ্যোগ নিতে গেলে পরিচিত এক পুলিশ সদস্যও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ঘরে স্ত্রী-বোন পেটানোকে অধিকার বলে মনে করেন। যে কোনো বিধি বা নীতিমালা করতে গেলে হাজারটি প্রতিবন্ধকতা আসে। যে কোনো উদ্যোগে সমঝোতা প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব পক্ষকে মিলিয়ে কাজ করতে হয় সরকারকে। চাইলেই জনগণের ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, এখন বাচ্চাদের দিয়ে বোমা মারানো হয়। কিন্তু তাদের আবার না মারার কথাও বলেন। সব ধরনের মতামতের লোক আছেন দেশে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কেউ ফেরেশতা নই। কোনো দলের লোক ফেরেশতা, কোনো দলের লোক খারাপ, এটা নয়। সবাই ভালো হলে সমস্যা থাকে না। তাই সবার সহযোগিতা সবার কাজেই প্রয়োজন। জাতীয় পার্টির এই নেতা এই সুযোগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মার্কা নিয়ে না ঘুরে যোগ্যতার ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষ জামানত পান না এই ঢাকা শহরে। এ দেশে মার্কা দিয়ে ভোট বিবেচনা হয় এখনো। নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আশা করি, এটি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আমাদের পাশের দেশগুলোতেও এমন নীতি এখনো হয়নি। তাই এটি নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধূরী, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপার্সন এমরানুল হক চৌধুরী, সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহামিন এস জামান প্রমুখ। শিপার বলেন, এটি একটি খসড়া নীতিমালা। সবার পরামর্শ বিবেচনা করেই এটি চূড়ান্ত হবে। তিনি সবাইকে কার্যকর পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *