Connect with us

ঢাকা বিভাগ

সংসদ উপনেতার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সালথায় যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন

Published

on

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:saltha-jubleage-pic

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবর রহমানের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী, প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি’র জ্যেষ্ঠপুত্র নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়মন আকবার চৌধুরী বাবলুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ খায়রুজ্জামান বাবু। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নগরকান্দা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া, সালথা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিম জাফর, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, মামুন মিয়াসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন এবং চৌধুরী সাব্বিরসহ তথাকথিত ব্যক্তিরা সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে, সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের প্রানপ্রিয় নেতা, তরুনপ্রজন্মের অহংকার জননেতা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র মূলক তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ফরিদপুরে সংবাদ সম্মেলনে কুচক্রী ও দূর্নীতিবাজ দেলোয়ার চেয়ারম্যান নিজেকে ত্যাগী নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। মূলত জাতীয় পার্টির সাবেক এই নেতা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে রেজিষ্ট্রেশন হয়। কিছু নেতার দূর্নীতির কারণে ২০০১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের রুপকার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পরাজয় বরন করেন। যা ঐসময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ঠিক তখনি এটা চোখে পড়ে নেত্রীর জ্যেষ্টপুত্র আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর। সে দিন থেকে তিনি পরাজয়ের কারণ খুজে বের করার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বিশাল ভোটের ব্যবধানে পূর্ণরায় জয়লাভ করেন। এসময় তাঁর সরলতার সুযোগে অবৈধ্যভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হন দেলোয়ার। উন্নয়ন মূলক কাজে যেসব টি-আর, কাবিখার গম ও চাউল বরাদ্দ হতো তার অধিকাংশ কর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করতেন। এসব দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার কারণেই নগরকান্দা ও সালথার সর্বস্তরের নেতা কর্মী এবং গণমানুষের নেতা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর চোখে তার দূর্নীতি ধরা পড়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯শে আগষ্ট ইউসুফদিয়া মাঠে সংসদ উপনেতার একটি জনসভায় তাঁর উপস্থিতিতে ন্যাক্কারজনক বিশৃংখলা সৃষ্টি হয় দেলোয়ার ও তার ভাই আনোয়ারের ইন্দনে। তাৎক্ষণিক সালথা থানা পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ জরুরী বর্ধিত সভা করে দেলোয়ার ও আনোয়ারকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজুলেশন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান কে এর কপি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দেলোয়ার ও আনোয়ার আর এলাকায় না এসে নেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এই কুচক্রি দেলোয়ার, আনোয়ার ও সাব্বিরকে সালথা উপজেলায় আর ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া যাবে না। এই মর্মে সালথা উপজেলা যুবলীগ প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। উপজেলা যুবলীগ ইতিমধ্যেই সকল ষড়যন্ত্রকারীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে ষড়যন্ত্রকারী ও মিথ্যাবাদী দেলোয়ার গংদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগে আইনগত এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। পরিশেষে ফরিদপুর-২, আসনের সমস্ত আওয়ামী পরিবারের প্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার জ্যেষ্টপুত্র জননেতা আয়মন আকবার বাবলু চৌধুরীর নেতৃত্বের প্রতি আমরা আমাদের আকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *