কুড়িগ্রাম
সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতার প্রতিফলন নেই রৌমারীতে
হাসপাতালে জরুরী অপারেশন বা টেস্টা করা ব্যাহত হচ্ছে। চরম লোডশোডিং এ চরম ভোগান্তিতে থাকেন রোগীরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড: মাফুজার রহমান মুকুল বলেন ঘনঘন লোডশোডিং হয়ার কারণে অসুস্থ্য মানুষের অনেক কষ্ট হয়। জরুরী অপারেশন বা টেস্টা করা ব্যাহত হয়। গত ২৪ এপ্রিল অতিগরমে কারণে হিটস্ট্রকে এক ব্যবসায়ী মৃত্যু হয়েছে।
পর্যাপ্ত বিদ্যুৎতের অভাবে এলাকার ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসান গুনছেন অনেক ব্যবসায়ী। রৌমারী বাজারের বণিক সমিতির সম্পাদক মো. আবু তোহা বলেন গড়ে দিনে ১২-১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবাহ না থাকায় বাজারের কম্পিউটার,লেধ ও ওল্ডিং(জালাইমেশিন),স্টীল,র্ফামিচার ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র র্ফামমের উৎপাদনে লোকসান হচ্ছে। বিদ্যুৎতের অভাবে নতুন করে ব্যবসা ও ক্ষুদ্র র্ফাম স্থাপন হচ্ছে না।
তীব্র গরম ও লোডশোডিং এ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও শিক্ষকগণের পাঠদান মারাতœক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রৌমারী সি জি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু হোরায়েরা দঃখ প্রকাশ করে বলেন লোডশোডিং সময় ক্লাসে কমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের থাকা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। সারাদিনে গড়ে ৩ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলে রৌমারী এলাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি বলেন, মো. গোলাম শহিদ বলেন কাউনিয়ারচর সাব রেজিট্রেশন চালু হলে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ পাওয়া যাবে। রৌমারী উপজেলায় অতিরক্ত লোডশোডিং হয়।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন বিদ্যুৎতে ঘনঘন লোডশোডিং এর কারণে অফিসীয়াল কাজসহ ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত রৌমারী বিদ্যুৎতে এ অবস্থা চলে আসছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বিভিন্ন মেয়াদী ও বহুমূখী প্রকল্প গ্রহন করায় বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ১২,২২৯ মেগাওয়াট হওয়ার পড়েও আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎতের উন্নতি হয় নাই।
দীর্ঘদিন যাবত জনগণ শুনে আসছে কিন্তুু প্রকৃত পক্ষে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়ন হচ্ছে না প্রসঙ্গে বকশিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডি জি এম মো. আব্দুল জলিল বলেন বিদ্যুৎতের গারতির কারণে লোডশোডিং বেশি হয়। বকশিগঞ্জ, ইসলামপুর, রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার জন্য প্রয়োজন ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ,সরবারহ আছে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার কোন নির্দিষ্ট বিদ্যুৎতের বরাদ্দ নাই। বিদ্যুৎ গারতি পূরণের জন্য ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ চেয়ে সচিব বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব শীগরই প্রয়োজন মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবারহ পাওয়া যাবে।
দেশ বিভাগ,মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলনে রয়েছে রৌমারী মানুষের গৌরবউজ্জোল ভুমিকা। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এসেও নদী ভাঙ্গন কবলীত এই এলাকার অনেক মানুষ নিজেদের অবহেলিত মনে করেন। তারা তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা চান। কিন্তু বিদ্যুৎতের মত অপরিহার্য সুবিধাদি কবে নাগাদ তাদের নিকট সহজ লভ্য হবে তা কেউ সঠিকভাবে জানেন না।