Connect with us

আন্তর্জাতিক

সিরিয়াল দেখতে বাধা দেওয়ায় শিশুকে হত্যা করল কিশোরী

Published

on

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিরিয়াল দেখতে বাধা দেওয়ায় কিশোরীর বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালার ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে মেচেদা বাজার লাগোয়া শান্তিপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়।
অভিযুক্ত কিশোরী সিরিয়াল খুব পছন্দ করত। কিন্তু বাড়িওয়ালার ছেলে পাঁচ বছরের অর্পণের তা একেবারেই পছন্দ নয়। সে দেখতে চায় কার্টুন। তাই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছিল বারবার। রেগে গিয়ে ওই কিশোরী গলা টিপে ধরে অর্পণের। তাতেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। পুলিশের কাছে নিজেই সে কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোরী। ঘটনায় পুলিশ ওই কিশোরীকে গ্রেফতার করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘জেরায় মেয়েটি স্বীকার করেছে, সে টিভিতে সিরিয়াল দেখার সময় কার্টুন দেখতে চেয়ে তাকে বিরক্ত করছিল অর্পণ। রেগে গিয়ে তার গলা টিপে ধাক্কা দেয় ওই কিশোরী। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এতেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।’ ওই কিশোরীকে তমলুক জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
অর্পণের বাবা-মা জগন্নাথ জানা ও গীতা জানা মেচেদা বাজারে সব্জির ব্যবসা করেন। তাদের দুই ছেলে। ছোট অর্পণ স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ত। জগন্নাথবাবুর বাড়ির একটি ঘরে মাস চারেক আগে ভাড়া এসেছিলেন অভিযুক্তের বাবা-মা। ওই দম্পতি মেলায় প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
দুই পরিবারের ব়ড়রা সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকেন। তাই পাঁচ বছরের অর্পণের দিন কাটত ভাড়াটিয়ার কিশোরী মেয়ের সঙ্গে।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে গীতা মেচেদা বাজারে চলে যান। বাড়িতে ছিলেন জগন্নাথ। বাড়ির আর এক ভাড়াটিয়া সোমনাথ দাসের কাছে প্রতিদিনের মতো পড়তে গিয়েছিল অর্পণ।
জগন্নাথ বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সন্ধা সাড়ে ৭টার মধ্যে ছেলের পড়া হয়ে যায়। কিন্তু ঘুম ভেঙে উঠে দেখি ছেলে ঘরে নেই। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, অর্পণকে দেখেনি। কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। জোর করে ঘরে ঢুকে খাটের তলা থেকে অর্পণকে উদ্ধার করা হয়।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, সে সময় অর্পণের মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। মেচেদা বাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *