জাতীয়
হিলি স্থলবন্দরে অচলাবস্থা, আমদানি-রফতানি ব্যাহত
দুই দিনের টানা বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত হয়েছে হিলি স্থলবন্দরসহ এর আশপাশের এলাকা। জলবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে সেখানকার স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, টিএন্ডটি অফিসসহ সরকারী বে-সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। ব্যহত হচ্ছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমও। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পৌরসভার চারটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার। তাদের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে এ এলাকার লোকজনকে। স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় অঘোষিত ছুটি দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। স্থলবন্দরের আমাদনি-রফতানি কাজে ব্যবহৃত একমাত্র সিপি রোড, হাসপাতাল রোড, বাজার রোড এবং চামরমাথা মোড় দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ব্যহত হচ্ছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার প্রতিবছর কোটি-কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও এখানে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করছে না। এ বিষয়ে হাকিমপুর পৌর মেয়র সাখাওয়াত হোসেন শিল্পি বলেন, হিলি স্থলবন্দর এলাকায় ড্রেন নির্মাণে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে পৃথক দুটি প্রকল্প সাবমিট করা হয়েছে। তিনি আশা করেন প্রকল্প দুটি অনুমদেন হলে হিলি স্থলবন্দরের জলবদ্ধতা থাকবে না।