হাজারো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বীরের বেশে জম্মস্থান খুলনায়
আলামিন রাব্বি:
হাজারো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বীরের বেশে জম্মস্থান খুলনায় এখন সময় পার করছেন যুববিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মেরাজ।
এখন খালিশপুরের হাউজিংয়ের নর্থ জোনের বি ব্লকের ৭নম্বর প্লটে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। এখানে টিনের ঘরে তার বসবাস।
মিরাজের বাবা মোঃজালাল পেশায় গাড়ি চালক। মা মিনারা বেগম গৃহিনী, ছোট বোন রুমানা আক্তার মিম্মা। যুব বিশ্বকাপ শেষে মঙ্গল বার তিনি খুলনা আসেন তিনি। এখানেই জম্ম তার,এখানের আলো বাতাসে তার বেড়ে উঠা।
ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট পাগল মিরাজ। বি এল কলেজ মাঠে, পাড়া মহল্লার ফাকা জায়গায় সহ গলির ফাকা স্থানে সব জায়গায় ক্রিকেট খেলতে মেতে উঠতেন তিনি।
এ নিয়ে দরিদ্র বাবা মায়ের হাতে কত যে বকা খেত তার শেষ নেই। তারপরও থেমে নেই মিরাজ। সেই মিরাজ আজ যুব ক্রিকেটে যুবদের সেরা। তাকে নিয়ে আত্নহারা খুলনার ক্রিকেট প্রেমী মানুষ, এতটাই আত্ন হারা যে নিজের গর্বিত বাব, মাকে ও সময় দিতে পারছে না।
রবিবার সকালে তার বাসায় আলাপ করতে গেলে তার বাবা নিজেই আগ্রহের সাথে তাকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে আসে। মিরাজ তার ভাবনা গুলো তুলে ধরেন সাবলীল ভাবে।
সংবাদকর্মী আলামিনঃ এখন আপনার পরিকল্পনা কি?
মিরাজঃ আপাতত বিশ্রাম নিব। ডান হাতের কাধে একটু ব্যাথা আছে,সেরে উঠলে মাঠে ফিরে যাব। সুস্থ হওয়ারে পর ঢাবার বিসিবির টিমে আনুশীলন চেস্টা করব। তারপর এ টিমে জায়গা করে নেয়ার চেস্টা করব। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলব ও প্রিমিয়াম লীগে খেলব।
সংবাদকর্মী আলামিনঃ ছোট বেলার অনুভূতি থেকে কিছু বলেন?
মিরাজঃ ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট ভাল লাগত তাই পাড়ার মাঠে বড় ভাই,বন্ধুদের সাথে সময় দিতাম। ভাল খেলতাম না তাই খেলায় নিত না। বড় ভাইদের খেলা আগ্রহ করে তেখে মজা নিতাম।
সংবাদবর্মী আলামিনঃ পরিবার থেকে কেমন সহয়তা পেয়েছেন?
মিরাজঃ দরিদ্র পরিবার। অভাব অনটন লেগেই থাকত । কিন্তু আমার খেলার আগ্রহ ছিল। বাবা খেলার চেয়ে পড়াশুনার দিকে খেয়াল রাখত বেশী। তাই স্কুলের নাম করে বাসা থেকে বের হতাম, বিভিন্ন মাঠে যেয়ে খেলতাম। যখন বাবা জানতে পারল বকাবকি করত। তারপর রাগ করে বেশী করে খেলতাম। জেদ বাড়তে থাকল । আগ্রহ নিয়ে খেলা শিখি বিএল কলেজে থাকা কোচ আল মাহমুদের কছে। অনূর্ধ ১৪ দলে বাছাই পর্বে জায়গা পাওয়ার পর থেকে বতলে যেতে থাকে চিত্র।
সংবাদিক আলামিনঃ যুব ক্রিকেটে সেরা হওয়ার পর কেমন সময় কাটছে?
মিরাজঃ খুলনা আসার পর অত্নীয় স্বজন,বন্ধুদের সাথে ব্যাস্ত সময় কাটছে। বাবা মায়ের সাথে একান্ত সময় কাটাতে ও পারি নাই। তবে তারা এখন খুশি। এখন আস্তে আস্তে ব্যাস্ততা কমতে শুরু করছে। খুলনায় আরো ১০থেকে ১৫ দিন থাকতে চাই।
জে-থার্টিন/বিপি