দেশজুড়ে
পাবনায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে জেলহাজতে গৃহকর্তী
পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা পৌরসভার খেয়াঘাট এলাকায় তাসলিমা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহকর্মীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্তী কামরুন্নাহার মৌসুমীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ।
আটক গৃহকর্তী পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার তরুণ মেরুয়া গ্রামের আবুল হাফিজের ছেলে ইমাম হোসেনের স্ত্রী। নির্যাতনের শিকার তাসলিমা গাজীপুর জেলার শ্রীপুর হরতকিরটেক গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাসলিমাকে গৃহকর্তার বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শহরের খেয়াঘাট এলাকার সুব্রত চক্রবর্তীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন ইমাম হোসেন ও তার স্ত্রী মৌসুমী। তাসলিমা তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। নানা অজুহাতে প্রায়ই তাসলিমাকে অমানুষিক নির্যাতন করতেন গৃহকর্তী মৌসুমী। গত ১১ জুলাই দুপুরে আর্বজনা ফেলতে বাড়ির বাইরে গিয়ে নির্যাতনের ভয়ে বাসায় ফেরেনা তাসলিমা। ঐদিন রাতে এই ঘটনায় সদর থানায় ডায়েরি করেন ইমাম হোসেন। সোমবার রাতে অভুক্ত অবস্থায় রাস্তায় কাতরাতে দেখে রাত ১০টার দিকে গৃহকর্তার বাসায় পৌঁছে দিয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ রাতে তাসলিমাকে উদ্ধার করে এবং গৃহকর্তা ইমাম হোসেনকে ও তার স্ত্রী মৌসুমীকে আটক করে। তাসলিমা জানান, মৌসুমী প্রায়ই তাকে বটি, লাঠি দিয়ে মারতেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘা ও ক্ষত লক্ষ করা গেছে। নির্যাতনের ভয়ে তাসলিমা ময়লা ফেলে বাসায় যাওয়ার সাহস পায়নি। আটকের পর মৌসুমী নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, তার শরীরে কাটার দাগ ও ঘা আগে থেকেই ছিল। আমরা ঔষধ খাওয়া ও ড্রেসিং এর কাজ করে দিয়েছি। ইমামের সহকর্মীরা জানান- মেয়েটি তার এলাকার এবং আত্মীয়। মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল।
সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আহসানুল হক জানান, স্থানীয়রা এবং তাসলিমা পুলিশকে বলেছেন- গৃহকর্তী মৌসুমী তাকে নির্যাতন করতেন। মৌসুমীকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গৃহকর্তা ইমাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।